চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

বাংলা সিনেমার হাওয়া বদল

২৩ সেপ্টেম্বর আসছে ‘অপারেশন সুন্দরবন’

‘হাওয়া’ মুক্তির দিনে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ এর ট্রেলার, বাংলা সিনেমায় সুদিন দেখছেন দর্শক

অনলাইন, অফলাইন এখন ‘হাওয়া’ময়। শুক্রবার দেশের ২৩টি প্রেক্ষাগৃহের সবগুলো শো হাউজফুল নিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ছবিটি। সিনেপ্রেমীরা বলতে শুরু করেছেন, সুদিন ফিরছে বাংলা ছবির দুনিয়ায়! আর এদিন সন্ধ্যায় বহুল প্রতীক্ষিত ‘অপারেশন সুন্দরবন’ এর ট্রেলার উন্মোচন যেন সেই আলোচনাকে আরও উস্কে দিলো!

শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে দীপংকর দীপন পরিচালিত ‘অপারেশন সুন্দরবন’ এর ট্রেলার উন্মোচন হয়। ট্রেলার উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ব্যয়বহুল এই সিনেমাটির ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে জমকালো আয়োজন করে র‌্যাব ওয়েলফেয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড।

পরবর্তীতে অনলাইনেও ‘অপারেশন সুন্দরবন’ এর ট্রেলার উন্মুক্ত করা হয়। প্রায় পৌনে তিন মিনিটের এই ট্রেলারে ফুটে উঠে শান্ত কোমল সুন্দরবনের ভয়ঙ্কর রূপ! জলদস্যুরা সুন্দরবনকে কীভাবে ব্যবহার করতো, জেলেদের উপর দস্যুদের অত্যাচারের গল্পের কিছুটা আভাস রাখা হয় ট্রেলারে।

সুন্দরবনের জলদস্যু দমনে আত্যোৎসর্গকৃত র‌্যাব সদস্য পি.সি. কাঞ্চন আলী সহ অন্যান্য অভিযানে র‌্যাবের ৩০ জন অকুতোভয় বীর শহীদের স্মরণে উৎসর্গকৃত ট্রেলারটিতে ভিন্ন লুকে দেখা যায় চিত্রনায়ক রিয়াজ, সিয়াম আহমেদ, তাহসিন, রোশান ও শতাব্দী ওয়াদুদকে। বাঘ গবেষক হিসেবে দেখা যায় সময়ের আলোচিত নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকেও।

ট্রেলারটি প্রকাশের পর পর দর্শক মাতেন বাংলা ছবির প্রশংসায়! ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’ ও ‘দিন দ্য ডে’র দর্শকপ্রিয়তার পর ‘হাওয়া’ নিয়ে মানুষের মধ্যে যে জোয়ার বইছে, তারমধ্যেই ‘অপারেশন সুন্দরবন’ মুক্তির ঘোষণা যেনো বাংলা ছবির জন্য সোনায় সোহাগা!

অন্তত সিনেপ্রেমী সাধারণ দর্শক তেমনটাই মনে করছেন। ট্রেলারটির মন্তব্য ঘরে একজন লিখেছেন, ‘সোনালী সময় খুব শিগগির আসছে।’ অন্য আরেকজন দর্শক লিখেছেন, ‘অসাধারণ শুভারম্ভ, বেস্ট অফ লাক অপারেশন সুন্দরবন টিম। আমরা চাই এভাবেই আমাদের দেশের সিনেমাগুলো আমাদের চিরচেনা কাহিনি থেকে বেরিয়ে আসুক। আমাদের প্রচুর সম্পদ আছে, সেটা অনেক পরে হলেও আমরা বুঝতে পেরেছি। এটাই আমাদের সাফলতা। জয়তু বাংলা সিনেমা।’

মেহেদী নামের একজন লিখেছেন, ‘দিন দ্য ডে,পরাণ তারপর আসলো হাওয়া, সামনে আসছে অপারেশন সুন্দরবন…এই ধারা অব্যাহত থাকুক। আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অচলায়তন ভেঙে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হোক! ভালোবাসা আর শুধুই ভালোবাসা টিম অপারেশন সুন্দরবন।

নাঈম লিখেছেন, ‘আমাদের ইন্ড্রাস্টি যে এগিয়ে যাচ্ছে তার আরেকটি চমক অপারেশন সুন্দরবন।’ কাজী ভাস্কর লিখেছেন, সুদিনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে আমাদের চলচ্চিত্রে, এই ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে।’

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনে একসময় জলদস্যুদের অবাধ বিচরণ ছিল। ফলে সুন্দরবন ছিল সাধারণ মানুষের জন্য ভয়ের এক জায়গা। এমনকি সুন্দরবনের জেলে, মৌয়ালও জীবিকা নির্বাহের জন্য মাছ ধরতে ও মধু সংগ্রহ করতে পারত না। এখন সুন্দরবন দস্যুশূন্য। র‌্যাবের চৌকষ বাহিনীর একের পর এক অভিযানে সুন্দরবন হয়েছে দস্যুহীন।

র‌্যাবের এই দুঃসাহসিক অভিযানকে উপজীব্য করেই নির্মিত হয়েছে ‘অপারেশন সুন্দরবন’। চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছে র‌্যাব ফোর্সেস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের অনুপ্রেরণায় লিগ্যাল মিডিয়ার তত্বাবধানে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। র‍্যাবের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন চলচ্চিত্রটি নির্মাণে সহায়তা প্রদান করেছেন বলে আগেই জানিয়েছেন নির্মাতা দীপন। ট্রেলারে জানানো হয়, আগামি ২৩ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী ‘অপারেশন সুন্দরবন’ মুক্তি পাবে।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View