ওমিক্রন নামে করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন শনাক্ত হওয়ার পর সাউথ আফ্রিকা ও প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর একের পর এক দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা জানিয়ে তা তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়: সিরিল রামাফোসা বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, তিনি এমন পদক্ষেপে মারাত্মক হতাশ। এছাড়া এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টিকে অন্যায্য হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি দ্রুত সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে সাউথ আফ্রিকার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশসহ অনেক দেশ এরই মধ্যে সাউথ আফ্রিকাসহ এর প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ থেকে নিজেদের দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে।
গত ২২ নভেম্বর সাউথ আফ্রিকায় করোনার এ নতুন ধরন শনাক্ত হয়। দুই সপ্তাহ আগে সাউথ আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ গাউতেং থেকে সংগৃহীত করোনার নমুনাটি বিশেষভাবে দ্রুত সংক্রমণে সক্ষম বলে চিহ্নিত করেন বিজ্ঞানীরা। পরে তা সাউথ আফ্রিকার সব এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
গত ২৭ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্টকে বা ‘উদ্বেগজনক’ ঘোষণা করে এবং এর নাম দেয় ‘ওমিক্রন’। এরপরই বিভিন্ন দেশ একে একে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।
আফ্রিকা অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডব্লিউএইচও’র পরিচালক ম্যাতসিদিসো মোয়েতি গতকাল রোববার বলেছেন, ‘ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আফ্রিকাকে লক্ষ্য করে দেওয়া ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্বভ্রাতৃত্বে আঘাত হেনেছে।’
প্রেসিডেন্ট রামাফোসা বলেছেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো ভিত্তি নেই। আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলো অন্যায্য বৈষম্যের শিকার হয়েছে।