ছোটপর্দায় এই সময়ের ক্রেজ জিয়াউল হক পলাশ। নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির সহকারী থেকে অভিনয়ে এসে সকলের নজড় কাড়েন এই অভিনেতা। অল্পদিনেই হয়ে উঠেন দর্শকপ্রিয়!
নির্মাতা অমির ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকে কাবিলা চরিত্রের পলাশ দর্শকদের কাছে তুমুলভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি। পাশাপাশি অমির বিভিন্ন সিঙ্গেল নাটকের মধ্যমনি হয়ে পলাশ পৌঁছে যান জনপ্রিয়তার চূড়ায়!
শনিবার (৩ফেব্রুয়ারি) জিয়াউল হক পলাশের জন্মদিন। প্রথম প্রহরেই পলাশকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে আবেগঘন একটি পোস্ট দিয়েছেন অমি। জানিয়েছেন পলাশ তার অহংকার!
পলাশকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে অমি লিখেন,“ওকে নিয়ে আমি একটা বই লিখে ফেলতে পারব। বই না লিখলেও আমাদের গল্প বলব আপনাদের কোনও একসময়। আজকে এইটুকু বলি, ওর মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ এতটাই তীব্র যে ওর বাকিসব দোষ ঢাকা পরে যাবে। আর যেই মানুষের মধ্যে কৃতজ্ঞতা বোধ আছে সে নিঃসন্দেহে ভালো মানুষ। আমি আমার সব অ্যাসিস্ট্যান্টদের ওর উদাহরণ দেই। ও বুম ফিল্মস এর একটা উদাহরণ।”
নিজেদের যাত্রাকে কেবল শুরু বলে আখ্যায়িত করলেন অমি। তিনি লিখেন,“যারা ভাবছেন ও অনেক বড় হয়ে গেছে,অনেক কিছু করে ফেলেছে তাদের ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়, ওর সুসময় আসছে সামনে। ও যে কোথায় যাবে তা আমি নিজেও বুঝতে পারছি না,আমাদের যাত্রা তো মাত্র শুরু।”
পলাশকে নিজের অহংকার দাবি করে অমি তার স্ট্যাটাসে আরো বলেন,“আমি চাই আমি মারা গেলে কিছু মানুষ যাতে আমাকে স্মরণ করে, আমার কাজকে স্মরণ করে। আমার বিশ্বাস পলাশ আমাকে সবসময় স্মরণ করবে। আমি মারা গেলেও, আমার অনুপস্থিতেও করবে। ওর জন্য মন থেকে অনেক অনেক দোয়া। আমার অহংকার আমাদের পলাশ।
জন্মদিনে গুরুর কাছ থেকে এমন শুভ কামনা পেয়ে উচ্ছ্বসিত পলাশ নিজেও। অমির সেই পোস্টে পলাশের পাল্টা মন্তব্যে তার আঁচও পাওয়া গেল। পলাশ লিখেছেন,“অমি ভাই। কী লিখবো, কী বলবো কিছুই বুঝে উঠতে পারতেছি না। ভালোবাসি আপনাকে ভাই। শুধু বলবো আপনি আমার জন্য দোয়া কইরেন। আপনার সম্মান যেনো আমি সবসময় রাখতে পারি। কাজের প্রতি আপনার যে সততা তা যেনো আমাদের মাঝেও প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়ে।”