বিশ্বকাপটা ভালো যাচ্ছে না বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের। আগের পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে তারা। নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে ভারতের দেয়া স্বল্প রান তাড়ায় নেমে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েছে জশ বাটলারের দল। হেরেছে ১০০ রানে। ইংলিশদের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে টেবিলের শীর্ষে ফিরে সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত ভারতের।
লক্ষ্ণৌর একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। রোহিতের লড়াই করা ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ২২৯ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে নেমে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৩৪.৫ ওভারে ১২৯ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ভারতের কাছে হেরে সেমির পথ থেকে প্রায় নিশ্চিতভাবেই ছিটকে গেল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
স্বল্প রান তাড়ার লক্ষ্যে নেমে ভালোই শুরু পেয়েছিল ইংল্যান্ড। প্রথম উইকেট জুটিতে ৩০ রান তোলে তারা। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে ডেভিড মালান ফিরে যান ১৭ বলে ১৬ রান করে।
এরপর ভারতীয় বোলারদের সামনে ইংলিশ ব্যাটাদের কেউই দাঁড়াতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট ছুঁড়ে এসেছে ব্যাটাররা। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেছেন দলের অন্যতম দুই ব্যাটার জো রুট ও বেন স্টোকস।
ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেছেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ৪৩ বল খেলে ফিরে যান কুলদীপের শিকার হয়ে। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানো বাকী ব্যাটারদের রান ছিল ১০ থেকে ১৬ এর ঘরে।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ শামি। জাসপ্রীত বুমরাহ নেন তিনটি। এছাড়া কুলদীপ যাদব দুটি ও রবীন্দ্র জাদেজা নেন এক উইকেট।
এর আগে ইংলিশ বোলারদের তোপে শুরুতেই চাপে পড়েছিল উড়তে থাকা ভারত। লোকেশ রাহুল ও সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তোলেন রোহিত শর্মা।
ব্যাটে নেমে দ্রুত ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিক দলটি। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে দলীয় ২৬ রানে শুভমন গিল ফিরে যান ১৩ বলে ৯ রান করে। দারুণ ছন্দে থাকা বিরাট কোহলি বিশ্বমঞ্চে ক্যারিয়ারে প্রথমবার শূন্য রানে আউটের ঘটনাও দেখে ফেলেন।
সপ্তম ওভারে ডেভিড উইলিকে এগিয়ে এসে মাথার উপর দিয়ে মারতে গিয়েছিলেন, তাতে গড়বড় করে ক্যাচ দিয়ে বসেন কোহলি। মিডঅনে বেন স্টোকসের তালুবন্দি হন। ৯ বল খেলে শূন্য রানে ফিরে যান। ওয়ানডেতে এ নিয়ে ১৬তম ডাক হাঁকালেন মহাতারকা ব্যাটার।
১২তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৪০ রানে শ্রেয়াস আয়ারকে ফেরান ক্রিস ওকস। ১৬ বলে ৪ রান করেন আয়ার। চতুর্থ উইকেট জুটিতে লোকেশ রাহুলকে নিয়ে দলকে চাপমুক্ত করেন রোহিত। জুটিতে ৯১ রান তোলেন দুজনে।
৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রাহুলকে ফেরান ডেভিড উইলি। ৫৮ বলে ৩৯ রান করে ফিরে যান রাহুল। ৩৭তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১৬৪ রানে একপ্রান্ত আগলে রাখা রোহিত ফিরে যান আদিল রশিদের শিকার হয়ে। ১০১ বলে ৮৭ রান করেন ভারত অধিনায়ক।
রোহিত ফেরার পর ফের চাপে পড়ে ভারত। ৪০.৩ ওভারে রশিদের শিকার হয়ে জাদেজা ফিরে যান ১৩ বলে ৮ রান করে। পরের ওভারে ১ রান করা মোহাম্মদ শামিকে ফেরান মার্ক উড। পরে জাসপ্রীত বুমরাহকে নিয়ে সংগ্রহ বাড়ান সূর্যকুমার যাদব। ৪৬.২ ওভারে দলীয় ২০৮ রানে সূর্যকুমারকে ফেরান উইলি। ৪৭ বলে ৪৯ রান করেন সূর্যকুমার।
ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হন বুমরাহ। ২৫ বলে ১৬ রান করেন। ১৩ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন কুলদীপ যাদব।
ইংলিশদের হয়ে ডেভিড উইলি নেন তিনটি উইকেট। আদিল রশিদ ও ক্রিস ওকস নেন দুটি করে উইকেট। মার্ক উড নেন একটি উইকেট।