বিশ্বকাপে সেমির স্বপ্নে ভরাডুবির পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ২০২৫ আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যের শুরুতেও নড়বড়ে বাংলাদেশ। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে নেমে আবারও ব্যর্থ টপঅর্ডার। আসা-যাওয়ার মিছিলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটি ও লিটন-সাকিবের ফিফটির কাছাকাছি ইনিংসে ভর করে পাকিস্তানকে কেবল ২০৫ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে টিম টাইগার্স।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টসে জিতে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান। নেমে ৪৫.১ ওভারে ২০৪ রানে থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৫৬ রান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
দিনের প্রথম ওভারেই শাহিন আফ্রিদির বলে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন তানজিদ হাসান তামিম। দলীয় রানের খাতা খোলার আগে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেটও নেন শাহিন। ৪ রান করে বাঁহাতি ব্যাটার ক্লিপ শট খেলে স্কয়ার লেগে থাকা উসামা মীরকে ক্যাচ দেন।
ষষ্ঠ ওভারে হারিস রউফের বলে খোঁচায় উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটান ৫ রান করা মুশফিকুর রহিম। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে রিয়াদের সঙ্গে ৭৯ রানের দারুণ জুটির পর ২১তম ওভারের পঞ্চম বলে ইফতিখার আহমেদের শিকার হন লিটন। ৬৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে মিডউইকেটে আঘা সালমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।
২৬তম ওভারের শেষ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৫৮ বলে ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে ছিল ৬ চার ও একটি ছক্কার মার। ফিফটির পর কিছুটা মন্থর ছিলেন। শেষ ১২ বলে তোলেন ৬ রান। ৩১তম ওভারের চতুর্থ বলে শাহিন আফ্রিদির তৃতীয় শিকার হন। ৭০ বলে ৫৬ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রিয়াদ।
পরের ওভারেই ফিরে যান তাওহীদ হৃদয়। উসামা মীরের বলে ছক্কা হাঁকান মিডউইকেট অঞ্চল দিয়ে। পরে বলে খোঁচা দিয়ে ধরা পড়েন প্রথম স্লিপে, ইফতিখার আহমেদের হাতে।
পরে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ৪৫ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। ৪০তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১৮৫ রানে সাকিবকে ফেরান হারিস রউফ। ৬৪ বলে ৪৩ রান করে আঘা সালমানের হাতে ক্যাচ দেন টাইগার অধিনায়ক।
৪৪তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। ওভারের প্রথম বলে দলীয় ২০০ রানে মিরাজকে ফেরান। ৩০ বলে ২৫ রান করে বোল্ড হন মিরাজ। তৃতীয় বলে ফেরান তাসকিন আহমেদকে। ৪৬তম ওভারের প্রথম বলে মোস্তাফিজকে ফিরিয়ে টাইগারদের ইনিংস গুটিয়ে দেন ওয়াসিম।
পাকিস্তানের হয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ ওয়াসিম ৩টি করে উইকেট নেন। হারিস রউফ নেন দুটি। উসামা মীর ও ইফতিখার আহমেদ নেন একটি করে উইকেট।