ওয়ানডে ইতিহাসে এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র একবারই হারাতে পেরেছে বাংলাদেশ। ২০০৫ সালে কার্ডিফে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়েছিল লাল-সবুজের দল। অজিদের বিপক্ষে ১৮ বছর পর আবারো জেগেছে জয়ের সম্ভাবনা। ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে প্যাট কামিন্সের দলের বোলারদের সামলে টাইগারদের সংগ্রহ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৬ রান।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শনিবার টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৬ রান যোগ করে দলের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। জুটি ভেঙে ১২তম ওভারে শন অ্যাবটের বলে সহজ ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তানজিদ। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৬ চারে ৩৬ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ৩০ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস। দলীয় স্কোর একশো ছাড়ানোর পর সাজঘরে ফেরেন ৪৫ বলে ৫ চারে ৩৬ রান করা লিটন। টাইগারদের উইকেটরক্ষক ব্যাটার অ্যাডাম জাম্পার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে মার্নাস লাবুশেনের তালুবন্দি হন।
টাইগারদের দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরার পর রানের চাকা সচল রাখেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। দারুণ ছন্দে থাকা শান্ত নিজের দোষেই হন রান আউট। অ্যাবটের বলে এক রান নিয়েছিলেন। অযথাই দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে করেন সর্বনাশ। স্কয়ার লেগে থাকা মার্নাস লাবুশেনের থ্রোয়ে বল নিয়ে স্টাম্প ভাঙেন জশ ইংলিশ। শান্তর সম্ভাবনাময় ইনিংস ৫৭ বলে ৬ চারে ৪৫ রানে থামে। তৃতীয় উইকেটে টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের সঙ্গে ৬৪ রান যোগ করেন হৃদয়।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়েন হৃদয়। রানের গতি বাড়িয়ে নিতে থাকা মাহমুদউল্লাহর রান আউটে ভাঙে জুটি। জশ হ্যাজেলউডের বলে কাভারের দিকে খেলেই রান নিতে চান হৃদয়। তার ডাকে সাড়া দিয়েই নিজের বিপদ ডেকে আনেন মাহমুদউল্লাহ। লাবুশেনের দারুণ থ্রোয়ে স্টাম্প ভেঙে আউট হয়ে ফিরে যান। শান্তর মতো মাহমুদউল্লাহও ডাইভ দিয়েছিলেন, কিন্তু বাঁচেতে পারেননি। ২৮ বলে এক চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ রান করে থেমেছেন।
মাহমুদউল্লাহর পর আউট হয়ে ফেরেন মুশফিক। জাম্পার শর্ট লেন্থের উপর করা বলে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে মিড অনে প্যাট কামিন্সের হাতে ক্যাচ দেন। এক ছয়ে ২৪ বলে ২১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
ফিফটি পাওয়া হৃদয় খেলেন ৭৯ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৭৪ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস খেলে বিদায় নেন। মার্কাস স্টইনিসের বলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে লাবুশেনের তালুবন্দি হন।
অ্যাবটের করা শেষ ওভারে কামিন্সের হাতে ধরা পড়ে ড্রেসিং রুমে যান ২০ বলে ৪টি চারে ২৯ রান করা মিরাজ। ৭ রান করে রান আউট হন নাসুম আহমেদ। দুই রানে অপরাজিত থাকেন শেখ মেহেদী হাসান।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩২ রান খরচায় ২ উইকেট পান জাম্পা। দুই উইকেট পেলেও খরুচে ছিলেন অ্যাবট, দেন ৬১ রান। একটি উইকেট নেন স্টইনিস।