প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হার। দ্বিতীয় ম্যাচের বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেও শেষ দুম্যাচে আফগানিস্তান ও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরেছিল ইংল্যান্ড। পঞ্চম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়ে জশ বাটলারের দল। ইংলিশদের খাদের কিনারায় ঠেলে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো লঙ্কানরা।
বেঙ্গালুরুতে ১৪৬ বল হাতে রেখেই ইংলিশদের হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এ নিয়ে আসরে নিজেদের পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হারল ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে খেলতে বাকী চারটি ম্যাচের প্রত্যেকটিতেই জিততে হবে ইংলিশদের। শুধু তাতেই হবে না। সেক্ষেত্রে অন্যদলগুলোর ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। অন্যদিকে টানা তিন পরাজয়ের পর নেদারল্যান্ডস ও ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমির দৌড়ে টিকে রইল শ্রীলঙ্কা।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ে টসে জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মূল্যায়ন করতে পারেনি ব্যাটাররা, ম্যাথুজ-লাহিরুদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩২.২ ওভারে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। জবাবে নেমে পাথমু নিশাঙ্কা ও সাদিরা সামারবিক্রমার দুর্দান্ত জুটিতে ২৫.৪ ওভার ২ ব্যাটারকে হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে লঙ্কানরা।
ইংলিশদের দেয়া স্বল্প রান তাড়ায় নেমে শুরুতে অবশ্য চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৯ রানে কুশল পেরেরার উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ৫ বলে ৪ রান করে ডেভিড উইলির বলে স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পেরেরা।
ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে কুশল মেন্ডিসকে দ্বিতীয় শিকার বানান উইলি। ১২ বলে ১১ রান করে বাটলারের হাতে ক্যাচ দেন মেন্ডিস।
২৩ রানে দুই ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়া লঙ্কানদের হাল ধরেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও চারে নামা সাদিরা সামারাবিক্রমা। দুই ব্যাটারের অবিচ্ছিন্ন ১৩৭ রানের জুটিতে সহজেই জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। ৮৩ বলে ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন নিশাঙ্কা, ৫৪ বলে ৬৫ রানে সাদিরা।
ইংলিশদের হয়ে দুটি উইকেটই নেন ডেভিড উইলি।
এর আগে ব্যাটে নেমে শুরুটা খুব একটা খারাপ হয়নি বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ রান তোলেন জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। ৬.৩ ওভারে মালানকে ফেরান লঙ্কান দলে মাথিশা পাথিরানার বদলি হিসেবে যুক্ত হওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। মালান ফিরে যান ২৫ বলে ২৮ রানে। দশম ওভারের চতুর্থ বলে রানআউট হয়ে ফেরেন ১০ বলে ৩ রান করা জো রুট।
১৩.২ ওভারে দলীয় ৬৮ রানে বেয়ারস্টোকে ফেরান কাসুন রাজিথা। ৩১ বলে ৩০ রান করেন ইংলিশ ওপেনার। পরে বেন স্টোকস একপ্রান্ত আগলে রাখলেও একে একে ফিরে যান জশ বাটলার, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলী ও ক্রিস ওকস। তাদের মধ্যে দুঅঙ্কের ঘরে পৌঁছান কেবল মঈন। ১৫ বলে ১৫ রান করে ম্যাথুজের দ্বিতীয় শিকার হন।
৩১তম ওভারের প্রথম বলে স্টোকসকে ফেরান লাহিরু কুমারা। ৭৩ বলে ৪৩ রান করে ডিপ মিড উইকেট অঞ্চলে ক্যাচ দেন দুশন হেমন্ত’র হাতে। ওভারটির শেষ বলে ইনিংসের প্রথম ছক্কা দেখে ইংল্যান্ড। লাহিরুর বলকে মাঠের বাইরে পাঠান ডেভিড উইলি।
পরের ওভারে নবম ব্যাটারকে হারায় ইংল্যান্ড। ৩২তম ওভারের ষষ্ঠ বলে ওয়াইড দিয়ে বসেন মাহেশ থিকসানা। রান নিতে গিয়ে একটু আস্তেই দৌড়ান আদিল রশিদ। কুশল মেন্ডিসের থ্রতে ননস্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভেঙ্গে যায়। রান আউট হয়ে ফিরে যান ৭ বলে ২ রান করা রশিদ।
৩৩ ওভারের দ্বিতীয় বলে থিকসানার ডেলিভারি এগিয়ে এসে মারতে যান মার্ক উড। ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাতে না পারায় বল চলে যায় উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে। স্টাম্পিং হয়ে ফিরে যান উড। ৬ বলে ৫ রান করেন তিনি। ১৭ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন উইলি।
লঙ্কানদের হয়ে তিনটি উইকেট নেন লাহিরু কুমারা। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও কাসুন রাজিথা নেন দুটি করে উইকেট। মাহেশ থিকসানা নেন একটি উইকেট।