
বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন মুশফিকুর রহিম। এর আগে এই কীর্তি গড়েছেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান।
সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নামার আগে ৪৫ রান দূরে ছিলেন মুশফিক। টানা দুই বাউন্ডারি মেরে মাইলফলকে পৌঁছান এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। তুলে নেন ফিফটিও। বাংলাদেশ ছুটছে বড় সংগ্রহের পথে।
লিটন দাসের পর নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হন সত্তর পেরিয়ে। আগের ম্যাচের মতোই সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ফেরেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটার। তবে তারা যে ভিতটা গড়ে দিয়েছেন তাতে বড় সংগ্রহ পাওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার।
দলীয় রান দুইশ ছোঁয়ার আগে দ্রুত ২ উইকেট হারালে ক্রিজে আসেন নতুন দুই ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও তাওহিদ হৃদয়। শুরুতে একটু নড়বড়ে থাকলেও রান তোলার গতি বাড়ছে দলীয় দুইশ পেরোনোর পর।

এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২৯৬ রান। মুশফিক ৬৫ ও তাওহিদ হৃদয় ৪০ রানে অপরাজিত আছেন। জুটিতে তারা পেরিয়েছে একশ রান।
ম্যাচের শুরুতে উইকেট ধরে খেলতে গিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পড়ে খোলস ছেড়ে বের হয়ে রানের গতি বাড়ান শান্ত-লিটন। দেড়শ পর্যন্ত ঠিকঠাক থাকলেও ৮ রানের মধ্যে দুই উইকেট (সাকিব-শান্ত) হারালে খানিকটা ছন্দপতন হয়। তবে সময়ের সঙ্গে দ্রুতই মানিয়ে নিয়েছেন মুশফিক-তাওহিদ।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া বোলারদের সুবিধা এনে দিলেও সময়ের সঙ্গে কাটতে শুরু করে প্রভাব। ৬ ওভারে ১৪ রান তোলা বাংলাদেশ পরের দুই ওভারে নেয় ১৬ রান। তামিম-লিটনরা থিতু হয়ে দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন।
কিন্তু দলীয় দশম ওভারে ঘটে বিপত্তি। দলীয় ফিফটির আগে রান আউট হয়ে ফেরেন তামিম। জন্মদিনে আক্ষেপ নিয়ে তাকে ছাড়তে হয় মাঠ। ৩১ বলে চার বাউন্ডারিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক করেন ২৩ রান।
এরপর লিটন-শান্ত মিলে ১৪০ রানের জুটি গড়ে। বাংলাদেশের নবম ব্যাটার হিসেব ওয়ানডেতে ২ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ৭১ বলে ৭০ রান আউট হন লিটন কুমার দাস।
এর পর নাজমুল হাসান শান্তও তুলে নেন ফিফটি। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটির দেখা পেলেও বেশি দূর এগোতে পারেননি তিনি। ৭৭ বলে ৭৩ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন শান্ত। ১৯ বলে ১৭ রান করা সাকিবকে ফেরান হিউম।