দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ময়মনসিংহ-৭ আসনে সংসদ সদস্য পদে লড়তে চান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নুরুল আলম পাঠান মিলন। প্রচলিত গণসংযোগের বাইরেও নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ ও দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলছেন তিনি। ইতোমধ্যে ‘ত্রিশাল হবে বিশাল’ স্লোগান দিয়ে বেশ সাড়াও ফেলেছেন।
জনগণের ভোট নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেছেন তার নির্বাচনী ইশতেহারে। সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায় জাতীয় নীতি মেনে নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন, ইউনিয়ন ও পৌরসভায় কমিউনিটি পাঠাগার নির্মাণ, সরকারি কবরস্থান নির্মাণ, শ্মশানঘাট নির্মাণ, সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায় খেলাধুলা ও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা, দারিদ্র সীমার নীচের জনগোষ্ঠীর জন্য আলাদা হেলথ কার্ড ও ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা, সকলের শিক্ষা গ্রহণের অধিকার নিশ্চিত, উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিশেষ ক্যাটেগরিতে শিক্ষা ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা, শতভাগ বিদ্যুতের পর শতভাগ ইন্টারনেট নিশ্চিত করা, শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত করাসহ আরও অনেক প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেছেন তিনি।
এই বিষয়ে নুরুল আলম পাঠান মিলন বলেন, জনপ্রতিনিধি না হলে সরাসরি উন্নয়নে ভূমিকা রাখা কঠিন। এলজিইডির রাস্তা, জেলা পরিষদের রাস্তা, মসজিদ-মন্দিরের জন্য সরকারি বরাদ্দ, স্কুলের ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি, ওয়াশ ব্লক, এরকম বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে উন্নয়নবান্ধব ও উন্নয়নমুখি মানুষ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, এসব ছাড়াও চিকিৎসা, শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষের প্রতি মানবিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের চেষ্টা সবসময়ই করি। বঞ্চিত, অনগ্রসর ও নির্যাতিত মানুষের পাশে থাকা আমার রাজনৈতিক অঙ্গীকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মূল রাজনৈতিক দর্শনই এটা। এটা অনুসরণের চেষ্টা করি।
তিনি বলেন, মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনাকে এগিয়ে নিতে, উন্নয়ন বাজেট সঠিকভাবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে গণমানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই। অনগ্রসর মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
মিলন পাঠান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ২০১৩ সাল থেকে আওয়ামী লীগের উপ-কমিটিতে কাজ করছেন। ২০১৬, ২০১৯ ও ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে অভ্যর্থনা উপ-কমিটি, সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটি ও দফতর উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষক সমন্বয় উপ-কমিটি’র সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মিলন ছাত্ররাজনীতি থেকে বিদায়ের পরে সুধাসদনস্থ তৎকালীন সিআরআই-তে যোগদান করেন এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের ডাটাবেইজ টিমের সদস্য হিসেবে কাজে করছেন।