নির্বাচনকে সামনে রেখে সমাজের সমস্ত অংশ এবং সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দলের প্রচার জোরদার করতে বিজেপি কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি বছরে জম্মু-কাশ্মীরসহ ভারতের ১০টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, এছাড়া আগামী বছর হবে লোকসভা নির্বাচন।
হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের সমাপনী দিনে দলের সদস্যদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেন, ভারত সমৃদ্ধি এবং গৌরবময় যুগের শীর্ষে রয়েছে। এই সময় কর্মীদের কঠোর পরিশ্রম করা থেকে পিছপা হওয়া উচিত না কারণ আমাদের হাত ধরেই পরিবর্তনের সময় আসবে এবং দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সক্রিয়ভাবে এবং জনগণের অনুভূতিকে অক্ষুণ্ণ রেখে সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে, বিশেষ করে প্রান্তিক মুসলমানদের কাছে তবে শুধু ভোটের কথা ভেবে না। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
মোদি আরও বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের গোষ্ঠীকে মূলধারায় যুক্ত করা না হলে ভারতের উন্নয়ন যাত্রা সম্পূর্ণ হবে না। তাই বিজেপিকে একটি রাজনৈতিক আন্দোলন নয় বরং একটি সামাজিক আন্দোলনে গড়ে তুলতে হবে যা মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের জন্য কাজ করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন কর্মকর্তা জানান, দলীয় কর্মীদের স্বার্থপরতার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন মোদি।
মোদি তাদের সতর্ক করে বলেছেন, দলের কর্মীদের, বিশেষ করে নির্বাচনী রাজ্যগুলোতে, যখন প্রয়োজন হবে নিঃস্বার্থ ভাবে দৌড়ে মাঠে নেমে জনগণের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে কাজ করতে হবে। এটি তাদের রাজনীতির বাইরে জনগণের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করবে।
মোদি বলেন, বিজেপি সরকার সমস্ত গোষ্ঠীর সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব দিবে। বিশেষ করে এমন সম্প্রদায় যারা বিজেপিকে ভোট দেয় না,তাদের উদ্বেগগুলো শোনা হবে এবং সম্ভাব্য সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রায় ১৮ কোটি সদস্যসহ বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিজিপি। তবে মোদি দলের নেতাদের আরও সদস্য যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিদের দলে আনতে হবে। যারা ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস দেখেনি এবং আগের সরকারের আমলে যে দুর্নীতি ও অন্যায় হয়েছে, সে সম্পর্কে তাদের অবগত করা দরকার। বিজেপির সুশাসন তাদের মাঝে বিস্তার করতে হবে।