তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে, নর্থ কোরিয়া তাদের রাষ্ট্রীয় সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য বিদেশে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে কর্মী পাঠিয়ে আসছে।
হাজার হাজার নর্থ কোরিয়ান শ্রমিক রাশিয়ান লগিং ক্যাম্প, চীনা কারখানা এবং পূর্ব ইউরোপীয় খামারগুলোতে দিন রাত পরিশ্রম করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিজ দেশে পাঠাচ্ছে। তবে এসব দেশে তারা যেন স্থায়ী হতে না পারে সে কারণে সরকার থেকে এসব শ্রমিকদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। এমনকি অনেক সময় তাদের সন্তান, বাবা-মাকে জিম্মি করে রাখা হয়।
সাউথ কোরিয়ার একটি নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে দেশগুলোকে ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ নর্থ কোরিয়ার কর্মীদের বহিষ্কার করতে বলা হয়, এরপরও হাজার হাজার শ্রমিক এখনও রাশিয়া এবং চীনে রয়ে গেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এধরনের কর্মকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দাসত্বের সাথে তুলনা করেছে।
নর্থ কোরিয়ার শ্রমিকরা যা অর্থ উপার্জন করে তার বেশিরভাগই দেশটির রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যায়। দেশটিতে বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা কিম জং-উন সরকার আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য ক্রমেই মরিয়া হয়ে উঠছে। কারণ এই অর্থই নর্থ কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রাগারের খরচের যোগান দিচ্ছে।