করোনা মহামারী, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের মধ্যে থাকা নর্থ কোরিয়ায় ভয়াবহ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে দেশটিতে অনাহারের কারণে বিপুল সংখ্যক মৃত্যুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৯০ সালের দুর্ভিক্ষের পর বর্তমানে দেশটি সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে। ওই সময় দুর্ভিক্ষে ব্যাপক অনাহার লক্ষাধিক মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছিল।
পিটারসন ইনস্টিটিউটের গবেষণা বিশ্লেষক লুকাস রেঙ্গিফো-কেলারের মতে, চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে দেশটিতে। এতে করে ক্ষুধাজনিত মৃত্যুর সংখ্যা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।
সিউল সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, নর্থ কোরিয়ায় কিছু অঞ্চলে ইতিমধ্যে অনাহার জনিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। যদিও দেশটির বিচ্ছিন্নতার কারণে এই তথ্যর প্রমাণ বের করা খুবই কঠিন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, কোভিড মহামারীর আগেও নর্থ কোরিয়ার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই অপুষ্টিতে ভুগছিল। বিগত তিন বছরের বন্ধ সীমান্ত এবং বিচ্ছিন্নতা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যার জন্য ‘পিয়ংইয়ং’ নিজেই দায়ী। মহামারী চলাকালীন পিয়ংইয়ং তার বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতা বাড়ায় এবং গত বছরে তারা রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর জন্য মূল্যবান সম্পদ ব্যয় করেছে।
সাউথ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘পার্ক জিন’ গত সপ্তাহে একটি সাক্ষাতকারে বলেন, নর্থ কোরিয়ার এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় হল আলোচনার টেবিলে ফিরে আসা এবং আমাদের মানবিক প্রস্তাব গ্রহণ করা।
এই সংকট মোকাবিলায় নর্থ কোরিয়ার সীমানাগুলো পুনরায় খুলতে হবে এবং তাদের বাণিজ্য পুনরায় শুরু করতে হবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি তাদের কৃষি ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটাতে হবে।