ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরে রাস্তায় কোন ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না।
আজ বুধবার ডিএমপি সদরদপ্তরে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে ঢাকা মহানগরীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্তে বিশেষ সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম-বার, পিপিএম পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ঈদ-উল-ফিতর ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
পরে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে সড়ক, রেল ও নৌ-যান চলাচল, যাত্রীদের সার্বিক সুবিধা-অসুবিধা মনিটরিং, সার্বিক নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করা এবং ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে আদায় করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের সভায় মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ আছেন। সবাই একমত হয়েছেন কোনো অবস্থাতেই ফিটনেটবিহীন গাড়ি রাস্তায় আসবে না। এরপরেও পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া আছে কোনোভাবেই এসব গাড়ি যেন রাস্তায় চলতে না দেয়। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ঢাকার পাশ্ববর্তী এলাকায় এ গাড়ি না আটকানো হলে ঢাকায় এসে এগুলো যানজট সৃষ্টি করবে। এজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে পাশ্ববর্তী ইউনিটে যে কর্মকর্তা আছেন তাদের চেষ্টা থাকবে এসব যেন ঢাকায় না ঢুকতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সরকারি নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। কাউন্টার ছাড়া কোন টিকিট বিক্রি করা যাবে না। কাউন্টার ব্যতীত বাইরে টিকিটি বিক্রি করলে তা কালোবাজারি বলে গণ্য হবে। টিকিটি কালোবাজারি করলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে কোন চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে পুলিশ। চাঁদাবাজির কোন অভিযোগ পেলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিশেষ সমন্বয় সভায় ডিজিএফআই, এনএসআই, এপিবিএন, র্যা ব, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, রেলওয়ে পুলিশ, নৌ-পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন, লঞ্চ শ্রমিক সমিতি, বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, জিএমপি, বিআইডব্লিউটিএ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, এমআরটি পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থা, বাস-মালিক সমিতি, লঞ্চ মালিক সমিতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ-চলাচল সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।