আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে একটি বিষয় পরিষ্কার করে দিতে চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সর্বোচ্চ আদালত এটিকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। আর অন্য কোন বিষয়ে আলোচনার সুযোগ আছে কি নেই তা আলোচনার প্রস্তাবের ওপর নির্ভর করবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংসদ ১৫তম সংশোধনী পাস করেছে। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান ফিরিয়ে আনার কোনরকম সম্ভাবনা নেই। এটি পুনর্বিবেচনা করেও সংবিধান সংশোধন করারও সম্ভাবনা নেই।
আনিসুল হক বলেন, বিএনপি, জামায়াত প্রতিবারই নির্বাচন নষ্ট করার জন্য সব পদক্ষেপ নিয়েছে। সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচন কখন হতে হবে। সেই অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দিন ও তারিখ ঘোষণা করবে। আমরা চাই, সবাই নির্বাচনে আসুক। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হবে। যারা এতে অংশ নিতে চায়, স্বাগত। যারা করবে না, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই। ২০১৪ সালে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রধানমন্ত্রী এটি (নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা) করেছিলেন। এখন এটি তার ওপর নির্ভর করে নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে কী করবেন, কী করবেন না। নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। সেই মুহূর্ত থেকে এ সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত আইনে আনসার ব্যাটালিয়নকে আটক ও তল্লাশির ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছেন, এসব কোনো ক্ষমতা আনসারকে দেওয়া হচ্ছে না। এ আইন নিয়ে যেসব ব্যাপারে প্রশ্ন ছিল, সেই বিষয়গুলো দেখা হয়েছে।