চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

চাকরির খোঁজে গিয়ে ভাগনীকে ধর্ষণ! র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার মামা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জে শিশু ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী রাজিব (১৯)কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে সদর উপজেলা জালালপুর বাজার এলাকা থেকে র‍্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ও র‍্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ সদর ক্যাম্পের যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার রাজিব ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার কুটারকান্দা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। আসামী ভিকটিমের দুঃসম্পর্কের মামা।

র‍্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ শাহরিয়ার মাহমুদ খান সকাল ১০ টায় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আসামী রাজিব ময়মনসিংহ থেকে চাকরির খোঁজে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় আসে। আসামী রাজিব ভিকটিমের বাড়িতে থেকেই চাকরির জন্য চেষ্টা করছিল। ভিকটিমের বাবা ও মা উভয়ই চাকুরিজীবী হওয়ায় প্রতিদিনের মত চলতি বছরের ১৪ আগস্ট নিজ নিজ কর্মস্থলে চলে যায়। বাসায় তখন তার দুই ছোট শিশু ও আসামি রাজিব অবস্থান করছিল। ঐ দিন বিকাল আনুমানিক ৫ টার দিকে ভিকটিমের মা বাসায় আসিলে তার ছয় বছরের শিশু কন্যাকে কান্নারত অবস্থায় পায়। কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে ভিকটিম তার মাকে বলে, আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে রাজিব মামা মজা কিনে দিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে খারাপ কাজ করে এবং এই কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে বাসা থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা ধর্ষণের আলামত দেখতে পায়। ঘটনার পর ভিকটিমের পরিবার নারায়ণগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহে চলে যান। বাড়িতে আসার পরপরই ভিকটিম শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ২১ আগস্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ২৫ আগস্ট হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়। পরে ২৭ আগস্ট ভিকটিমের মা বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর ৯(১) ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

র‍্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ শাহরিয়ার মাহমুদ খান জানান, মামলার দায়েরের পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে আসামী বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াতে থাকে। সর্বশেষ কিশোরগঞ্জ জেলায় তার অবস্থান নিশ্চিত করে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রাজিব ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় আসামী রাজিবের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।