নিউজিল্যান্ডের হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির বিপর্যয়ে অভিযুক্তদের বিচার শুরু হতে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে ৯ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়। কর্মক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রকরা জানিয়েছেন, আগ্নেয়গিরিটি কয়েক সপ্তাহ ধরেই স্বাভাবিক অবস্থানে ছিল না। এমন অবস্থায় বিস্ফোরণ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে ট্যুর অপারেটররা এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিল না।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এই অভিযোগের শুনানি শুরু হবে যা আগামী চার মাস চলবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আইনি বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে, দোষী পক্ষকে ৯ লাখ ২৮ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হবে।
উত্তরাধিকারসূত্রে এই দ্বীপের মালিকানা পেয়েছে পিটার, জেমস এবং অ্যান্ড্রু বাটল তিন ভাই, তারা ট্যুর অপারেটরদের লাইসেন্স দিয়েছে। সেক্ষেত্রে মালিকপক্ষ হিসেবে তিন ভাই এবং আইডি ট্যুর নিউজিল্যান্ড লিমিটেড ও তৌরাঙ্গা ট্যুরিজম সার্ভিসেস লিমিটেডকে আদালতে অভিযোগের সম্মুখীন হতে হবে।
অগ্ন্যুৎপাতের সময় ৪৭ জন হোয়াইট আইল্যান্ডে ছিলেন। সেখানে উপস্থিত প্রায় অর্ধেক মানুষই নিহত হয়েছে, যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ১৭ জন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩ জন এবং নিউজিল্যান্ডের ২ জন নাগরিক ছিলেন। এই ঘটনায় আরও ২৫ জন আহত হয়েছিল।
নিউজিল্যান্ডের প্রধান স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক ওয়ার্কসেফ এনজেড বলেন, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগ্নেয়গিরিটি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
হোয়াইট আইল্যান্ডে বিশ্বের একটি অন্যতম পর্যটক কেন্দ্রের মধ্যে একটি যেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক আসেন। তবে ২০১৯ সালের দুর্ঘটনার পর এই দ্বীপে আর পর্যটক আসেনি।