সুপার ওভারে টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ম্যাচেই সফরকারীদের পেতে হয়েছে একেবারেই ভিন্ন অভিজ্ঞতা। অ্যাডাম মিলনের বোলিং তোপে লঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপ হয়েছে দিশেহারা। এরপর টিম সেইফার্টের ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে যায় বোলাররা। ৯ উইকেটের বড় জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা টেনেছে নিউজিল্যান্ড।
বুধবার ডানেডিনে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা অতিথিরা ১৯ ওভারে ১৪১ রানে অলআউট হয়। ৩২ বল হাতে রেখে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিক দল।
দলীয় ২৯ রানের মধ্যে দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের উইকেট হারায় লঙ্কানরা। তৃতীয় উইকেটে কুশল পেরেরা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৬২ রানের জুটি গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নেন। ৩৫ রান করা কুশলের উইকেট নিয়ে জুটি ভাঙেন মিলনে। খানিক পর ৩৭ রান করে রাচিন রবীন্দ্রের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ধনঞ্জয়া।
এক পর্যায়ে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১২২ রান। সেখান থেকে শুরু হওয়া ব্যাটিং ধসে ১৯ রান যোগ করতেই তারা শেষ ৬ উইকেট খুইয়ে বসে।
ম্যাচসেরা কিউই পেসার মিলনে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। বেন লিস্টের নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট পকেটে জমান হেনরি শিপলে, রাচিন ও জেমস নিশাম।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্ল্যাক ক্যাপসদের ঝড়ো সূচনা এনে দেন চ্যাড বোয়েস ও টিম সেইফার্ট। দ্রুত এ দুই ব্যাটার গড়েন ৪০ রানের জুটি। এর ভেতর ১৫ বলে ৭ চারে একাই ৩১ রানের ইনিংস খেলেন বোয়েস।
কাসুন রাজিথার বলে বোয়েস ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর শুরু হয় সেইফার্টের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। অধিনায়ক টম ল্যাথামকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ১০৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলের সহজ জয়ে ভূমিকা রাখেন। সেইফার্ট ৪৩ বলে ৩ চার ও ৬টি ছক্কায় ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ল্যাথামের উইলো থেকে আসে ২০ রান।
৮ এপ্রিল কুইন্সটাউনে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় শুরু হবে টি-টুয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি।