নিউজিল্যান্ডের সংসদ সদস্যদের এবং সংসদের অভ্যন্তরে অন্যান্য কর্মীদেরকে তাদের সরকারি ফোনে টিকটক অ্যাপ রাখা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তথ্যের নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে শুক্রবার দেশটির কর্মকর্তারা এই ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে আরও কয়েকটি দেশ টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। নিউজিল্যান্ডে এই নিষেধাজ্ঞা চলতি মাসের শেষে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
নিউজিল্যান্ডে টিকটক ব্যবহারে এই নিষেধাজ্ঞা দেশটির সকল সরকারি সেক্টরের কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য হবে না বরং এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র সংসদীয় কমপ্লেক্সের প্রায় ৫০০ জনের জন্য প্রযোজ্য হবে, বলে জানিয়েছে দেশটি। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনে সকল সরকারি কর্মীর জন্যই টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধ।
টিকটক তাদের ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করে বলে এফবিআই এবং অন্যান্য মার্কিন সংস্থাগুলোর সতর্কবার্তার পর অ্যাপটি সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ সৃষ্টি করে। এফবিআই অভিযোগ করেছে, টিকটকের মূল সংস্থা বাইটড্যান্স চীনের কর্তৃত্ববাদী সরকারের কাছে টিকটক ব্যবহারকারীর ডেটা- যেমন ব্রাউজিং হিস্ট্রি, লোকেশন এবং বায়োমেট্রিক তথ্য সরবরাহ করে।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স বলেছেন, আমার ফোনে টিকটক নেই। আমি টিকটক ব্যবহারকারী নই এবং এই ট্রেন্ডেও আমি নেই।
নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টারি সার্ভিসের প্রধান নির্বাহী রাফায়েল গঞ্জালেস বলেন, সরকারের সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের পরামর্শে এধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পার্লামেন্টের আভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত সকল মোবাইল ফোন থেকেই টিকটক অ্যাপটি সরিয়ে ফেলা হবে। এছাড়াও কোন কর্মকর্তা যদি মনে করেন, তার গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালনের জন্য টিকটক ব্যবহার করবেন, তবে এমন যেকোনও ব্যক্তির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।