শিক্ষাজীবনে ক্যাম্পাস লাইফে শিক্ষার্থীদের অনেক গল্প থাকে। সেই গল্পগুলো স্বপ্নের, প্রেম-ভালোবাসার, রাজনীতির, ভ্রাতৃত্বের। এসব গল্প নতুন করে উঠে আসছে তুহিন হোসেন পরিচালিত নতুন ধারাবাহিক ‘ক্যাম্পাস’ নাটকে।
নির্মাতা বলছেন, ক্যাম্পাস লাইফ নিয়ে একাধিক নাটক নির্মিত হলেও তার এই ‘ক্যাম্পাস’ নাটকে একটি পাবলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। যে গল্পের কোনো না কোনো দিক দর্শকদের চিরচেনা।
একাধিক খণ্ড নাটক নির্মাণ করলেও ‘ক্যাম্পাস’ হচ্ছে তুহিন হোসেন পরিচালিত দ্বিতীয় ধারাবাহিক। এর আগে তিনি ‘চিরকুমার সংঘ’ ধারাবাহিক বানিয়েছিলেন। নির্মাতা বলেন, যে কোনো নাটক দর্শকদের ভালো লাগার প্রধান কারণ গল্প। এর পাশের শুটিং রিলেটেড ইউনিক অনেক কিছু জড়িত। তাছাড়া নাটকটি যদি দর্শকদের জীবনের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বা তার পরিচিত গল্প হয় সেই কাজটি দর্শক পছন্দ করে। ক্যাম্পাস নাটকের গল্প তেমনই।
ধারাবাহিক নাটকের জনপ্রিয় হয়ে ওঠা মুশকিল! তবুও বিনোদন নির্ভর চ্যানেলগুলোতে ধারাবাহিক নির্মিত হচ্ছে। কিন্তু দর্শকপ্রিয়তা পাচ্ছে কম। কারণ কী? তুহিন হোসেন বলেন, ধারাবাহিক শুরু হয় যেভাবে সেই ধারাবাহিকতা থাকছে না। শুরুতে যে বাজেট দিয়ে প্রতি পর্বের শুটিং হয়, কিছুদিন পর বাজেট কমতে থাকে। এজন্য প্রথমদিকের মতো গল্প বা সবকিছুই বাজেট সংকটের কারণে কমাতে হয়। আসলে এখানে বাজেট ফ্যাক্ট!
তিনি বলেন, ইনডোর নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল আউটডোর ক্যানভাস তুলে ধরার চেষ্টা করছি। তাই আমি মনে করি ক্যাম্পাস নাটক দর্শক কোনো না কোনো ভাবে নস্টালজিক হয়ে পড়বে। ক্যাম্পাস লাইফের সঙ্গে জীবনের ক্যানভাস যে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত সেটা এই নাটক দেখে ফিল করবে।
ইতোমধ্যে ১৬ পর্বের শুটিং শেষ হয়েছে। নির্মাতা জানান, ধারাবাহিক নাটক করতে গেলে শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে বেগ পেতে হয়। যখন ক্যাম্পাস নাটকের প্ল্যান জানালেন, তখন শিল্পীরা আন্তরিকভাবে প্রতিমাসে কয়েকদিন রাজশাহী গিয়ে শুটিংয়ে করবেন বলে কথা দিয়েছেন। শুটিংও করছেন।
‘ক্যাম্পাস’র চিত্রনাট্য আওরঙ্গজেবের। এর বিভিন্ন চরিত্রে আছেন নাজিয়া হক অর্ষা, রওনক হাসান, আহসান হাবীব নাসিম, চাষী আলম, পাভেল, শিবলী নোমান, ফারজানা মিহি, নাইমা মাহা, সুষমা সরকার প্রমুখ। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে একটি বেসরকারি টিভিতে প্রচার হবে।