টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় নির্মাতা দীপু হাজরা। তার নাটকে ওঠে আসে গ্রাম বাংলার মানুষের গল্প, মধ্যবিত্ত মানুষের গল্প। হাসি কান্না আর নানা ধরনের আবেগের ভেতর দিয়ে তিনি বিনোদিত করেন দর্শককে।
বুধবার (২৩ মার্চ) চ্যানেল আইতে সম্প্রচার হবে তার নতুন টেলিফিল্ম ‘বোকা কোথাকার’। এর গল্পটিও তেমনই মধ্যবিত্ত জীবনের নানা টানাপোড়েনের গল্প। এদিন দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে দর্শক যা দেখতে পারবেন।
দীপু হাজরার ‘বোকা কোথাকার’ টেলিফিল্মটি রচনা করেছেন সুস্ময় সুমন। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ইমন, সমাপ্তি মাসুক, ললনা নূর, নিথর মাহবুব, হিল্লোল সরকার, এ আর পিয়াস, পনির শিকদার প্রমূখ। টেলিফিল্মটি প্রযোজনা করেছে ১৯৫২ এন্টারটেইনমেন্ট।
টেলিছবির গল্পে দেখা যাবে, জাবেদ আর মীরার টানাটানির সংসার। সম্প্রতি জাবেদের অফিসে ঠিকমতো বেতন হচ্ছে না। তাতে করে ওদের অবস্থা আগের চেয়ে আরো বেশি খারাপের দিকে মোড় নিয়েছে। মীরা জাবেদকে বারবার বলে চলেছে এই চাকরি বাদ দিয়ে অন্য কোনো চাকরির খোঁজ করতে। কিন্তু জাবেদ তা করছে না। সে তার বিবেকের কাছে পরিচ্ছন্ন থাকতে চায়। যে অফিসে এতদিন সে চাকরি করেছে, তারা আজ ক’মাস বেতন দিতে পারছে না বলে সেই অফিস ছেড়ে চলে যাওয়ার পক্ষপাতি নয় সে। স্বামীর এসব ছেলেমানুষী সিদ্ধান্তে অভিমান করে মীরা। অভিমান করে স্বামীকে ‘বোকা কোথাকার’ বলে কটাক্ষ করে!
ঘর ভাড়া থেকে মুদি দোকান, চারপাশে যখন দেনার পাহাড়- তখন হঠাৎ একদিন রাস্তার মাঝে কলেজ জীবনের বন্ধু সুমনের সাথে দেখা হয় জাবেদের। সুমন অনেক বছর দেশের বাইরে ছিল, আজও বিয়ে করেনি। জাবেদ খুশি হয়ে তাকে বাসায় নিয়ে আসে। জাবেদ, সুমন আর মীরা একসাথে পড়াশোনা করেছে, কাজেই পুরানো বন্ধুকে দেখে খুশি হয়ে ওঠে মীরাও। কিন্তু এর কদিন পর থেকেই শুরু হয় টানাপোড়েন। সুমন মীরাকে জানায় যে সে আজও মীরাকে ভালোবাসে। মীরা যদি চায় সে এখনও ওকে বিয়ে করতে প্রস্তুত আছে! বন্ধুর মুখে এসব কথা শুনে মীরা প্রথমে মজার ছলে নিলেও সুমন নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এদিকে স্বামীর নানা বোকামিতে ধীরে ধীরে অতিষ্ট হয়ে ওঠে মীরা। সুমন নিজে থেকে ওদের বাড়িভাড়া, মুদির বিল সব দিয়ে দিতে থাকে। এতে করে বোকাসোকা জাবেদ কিছু না বুঝলেও মীরা কেন যেন ছোট হয়ে যেতে থাকে সুমনের কাছে। দারিদ্রতা মীরাকে অসহায় করে তোলে। সে হারিয়ে ফেলতে থাকে নিজের বিচারবুদ্ধি। দুর্বল হয়ে পড়ে পুরানো বন্ধু সুমনের ওপর।
এদিকে জাবেদ একদিন সুমনের সঙ্গে দেখা করে। কথা প্রসঙ্গে জানায়, কলেজে সুমন তার খাতা দেখে পাস করলেও আজ সে ধনী। আর তার অবস্থা হয়েছে নাজেহাল। কিন্তু এরপরেও নিজেকে একজন জয়ী মানুষ বলেই মনে করে জাবেদ, কারণ সে মীরাকে জয় করতে পেরেছে। তার মুখে এমন সহজ কথা শুনে মনে মনে হাসে সুমন। বলে যে, সে চাইলে এখনই মীরাকে জাবেদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারে। কারণ তার কাছে আছে বিত্তের সুখ আর প্রাচুর্য। তাই জাবেদ যদি চায় সে ব্যাপারটা ঘটিয়ে দেখাতে পারে। বন্ধুর প্রস্তাবে কেন যেন রাজি হয়ে যায় জাবেদ। দেখা যাক নিজের প্রাচুর্যের বিনিময়ে কীভাবে সুমন মীরাকে তার জীবন থেকে কেড়ে নেয়? সুমন মীরার দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে ওকে লোভ দেখায় তার সঙ্গে বিদেশে পাড়ি জমাতে। মীরা সত্যি সত্যি স্বামীকে ছেড়ে সুমনের সাথে বিদেশে পাড়ি জমাবে?
এমন গল্প নিয়েই এগিয়ে চলে ‘বোকা কোথাকার’ টেলিফিল্মটির গল্প। জানতে হলে চোখ রাখতে হবে চ্যানেল আইয়ের পর্দায়।