ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন লিজ ট্রাস। ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নতুন প্রধান লিজ ট্রাসকে পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী লিজ স্ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার সূচনা বক্তৃতায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রশংসা করে দেশবাসীকে আশার কথা শুনিয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী লিজ স্ট্রাস তার সূচনা বক্তৃতায় বলেন, ‘এখন সময় এসেছে ব্রিটেনকে আটকে রাখা বিষয়গুলোকে মোকাবেলা করার।’
প্রথামত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দশ নাম্বার ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে দাঁড়িয়ে দেওয়া বক্তব্যে লিজ ট্রাস বলেন, ‘ব্রিটিশ জনগণ বারবার দৃঢ়তা, সাহস এবং সংকল্প দেখিয়েছে। আমরা এখন ইউক্রেন এবং কোভিড যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী প্রতিকূলতার মুখোমুখি।’
সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রশংসা করে ট্রাস বলেন, তিনি ব্রেক্সিট সম্পাদন ও কোভিড টিকা সরবরাহ করেছেন। এছাড়া রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। ইতিহাস তাকে একজন অত্যন্ত সফল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখবে।’
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিকে তিনি ‘ভ্লাদিমির পুতিনের সৃষ্ট সংকট’ বলে আখ্যায়িত করেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ৬ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডে রানির ব্যক্তিগত বাসভবন ব্যালমোরাল প্রাসাদে গিয়ে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করেন লিজ ট্রাস।
এর মাধ্যমে দু’মাসের এক অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের অবসান ঘটলো, যেটি শুরু হয়েছিল একাধিক কেলেঙ্কারির জেরে, যখন বরিস জনসনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
ইউরোপে যুদ্ধ এবং দেশে গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যার পটভূমিতে লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার হাতে তুলে নিলেন। তার নতুন প্রশাসনের প্রথম কাজ হবে পাইকারি জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করা।
এ লক্ষ্যে বাসাবাড়িতে জ্বালানির ব্যয় প্রায় আঠারো মাসের জন্য স্থগিত রাখা হবে।জ্বালানি কোম্পানিগুলিকে সরকার এর পরিবর্তে ঋণ দেবে।
এর আগে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও প্রথা অনুযায়ী ব্যালমোরাল প্রাসাদে গিয়ে রানির কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন।
সেখান থেকে বেরিয়ে এসে এক বক্তৃতায় তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন করোনা মহামারি মোকাবিলা এবং ব্রেক্সিট চুক্তিসহ তার অর্জনগুলিকে তুলে ধরেন।
তবে যেসব কেলেঙ্কারির জন্য তিনি চাকরি হারিয়েছেন সে সম্পর্কে বরিস জনসন কোনো কথা বলেননি।