ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ৩৭৪ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে নেমে টাই করে সুপার ওভারে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে নেদারল্যান্ডস। রোমাঞ্চকর ম্যাচে জয়ের নায়ক লোগান ফন বিক। ম্যাচের শেষদিকে ঝড় তোলার পর সুপার ওভারে ব্যাটে-বলে জ্বলেছেন তিনি। দারুণ সেই জয়ে ‘দায়মুক্তি’র আনন্দ হচ্ছে ডানহাতি মিডিয়াম পেসারের।
তেজা নিদামানুরুর সেঞ্চুরিতে উইন্ডিজের ৩৭৪ ছুঁয়ে ‘টাই’ করে নেদারল্যান্ডস। নির্ধারিত ওভারেই জয় পেতে পারত ডাচবাহিনী, যদি শেষ বলে আলঝারি যোসেফের শিকার না হতেন ফন বিক। পরে ম্যাচ গড়ায় সুপারওভারে। সেখানে ডাচদের নায়ক ফন বিক। অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যে জেতান নেদারল্যান্ডসকে।
ম্যাচ শেষে বিক বলেছেন, ‘আমি শেষ বলটি নিয়ে বেশ হতাশ হয়েছিলাম। ধন্যবাদ যে আমি কিছুটা মুক্তি পেয়েছি।’
সুপার ওভারে ক্যারিবীয় বোলার জেসন হোল্ডারের ওভারের প্রতিটি বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ৩২ বর্ষী বিক। ৩ চার ও ৩ ছক্কায় এক ওভারে ৩০ রান নেন। বল করতে নেমে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান উইন্ডিজ ব্যাটার জনসন চার্লস। সেখান থেকে ম্যাচের লাগাম টেনে শেষ দুই বলে ২ উইকেট শিকার করে জয় নিশ্চিত করেন বিক।
বিকের ভাষ্য, ডেথ ওভারে ডাচদের হয়ে অনেক ম্যাচেই পরাজয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। এবার এমন এক জয়ের মধ্য দিয়ে সেইসব দায় থেকেও নিজেকে করলেন মুক্ত।
‘এমন পরিস্থিতিতে আমি যে পরিমাণ ম্যাচ হেরেছি, এই ম্যাচের মধ্যে দিয়ে নিজের দায় মুক্ত হয়েছি। আমি কেবল আমার দক্ষতাকে সমর্থন করেছি। যদি এখানেও আমি মিস করতাম, তাহলে কষ্ট পেতাম। ভেবেছিলাম নিজেকে একটি সুযোগ দিতে চাই।’
গ্রুপপর্বের এমন জয়ে দারুণ উচ্ছ্বাসিত ডাচ বোলার। বিশ্বকাপের টিকিট পেতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এমন জয়ের গুরুত্ব প্রকাশ করে জানান, এই বছরের শেষদিকে ভারতে হতে চলা বিশ্বকাপের দিকে আরও একধাপ এগিয়েছে তার দল।
‘আমরা যে সংস্কৃতি গড়ে তুলেছি এবং গত ১৮-১৯ মাস ধরে আমরা যে শিক্ষা নিয়েছি তা ব্যাপক। এখন আমাদের ভারত বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ আছে। এটি সত্যিই বিশাল।’
নেদারল্যান্ডস হয়ে এপর্যন্ত ২১ ওয়ানডেতে ২৮টি উইকেট নিয়েছেন ফন বিক। টি-টুয়েন্টিতে ২৩ ম্যাচে পেয়েছেন ২১ উইকেট। ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ২১ ম্যাচে ৩১০ রান করেছেন এ ডানহাতি।
ডাচদের কাছে হারায় অবশ্য ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সুপার সিক্স নিশ্চিতে সমস্যা হয়নি উইন্ডিজের। গ্রুপ ‘এ’ থেকে আগেই বাদ পড়েছে নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্র। তাতে দুই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয় হয়ে সুপার সিক্সের টিকিট কাটে উইন্ডিজ। চার ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে নেদারল্যান্ডস, আর চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার সিক্সে পা রেখেছে জিম্বাবুয়ে।