সুযোগ ছিল তিন দলের সামনে। দৌড়ে এগিয়ে ছিল নেদারল্যান্ডস, লড়াই ছিল মূলত সেনেগাল ও ইকুয়েডরের মাঝে। বাজি জিতেছে প্রথম দুদল। গ্রুপ এ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় গেছে ডাচরা, সঙ্গী রানার্সআপ সেনেগাল।

মঙ্গলবার গ্রুপপর্বের শেষ রাউন্ডে ইকুয়েডরের বিপক্ষে নেমেছিল সেনেগাল, জয় তুলেছে ২-১ ব্যবধানে। অন্য ম্যাচে আগেই ছিটকে যাওয়া স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে নেদারল্যান্ডস, ২-০ গোলে।
দুই জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নেদারল্যান্ডস, রানার্সআপ সেনেগাল সমান জয়ে জমাতে পেরেছে ৬ পয়েন্ট। গ্রুপের তিনে থেকে আসর শেষ করল ইকুয়েডর, পয়েন্ট ৪। কাতার শেষ করল কোনো পয়েন্ট না তুলেই।
আল বাইত স্টেডিয়ামে কাতারের বিপক্ষে ডাচদের গোল দুটি। প্রথমটি কোডি গ্যাকপোর। ম্যাচের ২৬ মিনিটে ক্ল্যাসেনের বাড়ানো বলে জাল খুঁজে নেন এ মিডফিল্ডার। আসরে তিন ম্যাচে তিন গোল হল গ্যাকপোর।
নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় গোলটি আরেক মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের, করেছেন ৪৯ মিনিটে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ভিএআরে ফরোয়ার্ড স্টিভেন বার্গইনের একটি গোল বাতিল হলে ব্যবধান বাড়েনি। তাতে অবশ্য কোনো শঙ্কাও জাগেনি কমলাবাহিনীর অগ্রযাত্রায়।
অন্য ম্যাচে, খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সেনেগাল ও ইকুয়েডরের লড়াই জমে উঠেছিল। প্রথমার্ধে ছিল কেবল একটি গোল। শুরুতে এগিয়ে যায় জয়ী দলটাই। ইসমাঈল সের ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সেনেগালকে লিড এনে দেন।
বিরতির পর ম্যাচের ৬৭ মিনিটে সমতা টানে ইকুয়েডর। তোরেসের বানিয়ে দেয়া বলে গোল আনেন মোইসেস আইসেদো। লড়াই জমে ওঠে।
সেই সমতা পরিস্থিতি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কালিডু কৌলিবালি ৭০ মিনিটে সেনেগালকে ফের এগিয়ে দেন। ইকুয়েডর পরে আর জালের দেখা না পেলে নকআউটের হাসিতে মাঠ ছাড়ে সেনেগালিজরা।