একটি হত্যাকাণ্ডের জেরে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পিরোলী গ্রামের ২০০ পরিবার ঘরছাড়া বিষয়ক সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে এসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ বিষয়ে আগামী ১৮ মে’র মধ্যে জেলার পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন।
আজ রোববার (২১ এপ্রিল) বিষয়টি আমলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২১ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘২০০ পরিবার ৯ মাস ঘরছাড়া’ শীর্ষক সংবাদটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। সংবাদ উল্লেখ করা হয়, একটি হত্যাকাণ্ডের জেরে মামলার আসামি হয় এলাকার নিরীহ কৃষক ও দিনমজুরদের। আসামি হয়ে হাজত খেটে জামিনে বের হয়ে এলেও তারা হামলার ভয়ে ২০০ পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফিরতে পারছে না।
সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই গ্রামটিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুন হন যুবলীগকর্মী আজাদ শেখ (৩০)। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে গত ৯ মাস ধরে ভুক্তভোগীরা ভিটামাটিছাড়া। গত ১৫ এপ্রিল পুলিশ সুপারের কাছে বাড়িঘরে ফেরার আকুতি নিয়ে তার কার্যালয়েও যান ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পিরোলী গ্রামে আজাদ শেখ খুনের ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ভূত অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হয়নি -তার ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নড়াইলের পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে। ভুক্তভোগী প্রায় ২০০ মানুষকে নিজ নিজ বাসস্থানে বসবাস করার এবং চাষাবাদ করার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করে আগামী ১৮ মে’র মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।