২০১১ সালে ‘রকস্টার’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল অভিনেত্রী নার্গিস ফাকরির। বলিউড ক্যারিয়ারের প্রায় দশ বছরের বেশি সময়ে এই অভিনেত্রীকে দেখা গেছে ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’, ‘ম্যায় তেরা হিরো’, ‘হাউস ফুল থ্রি’, ‘টিসুম’ সহ আরো বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ছবিতে।
যদিও অভিনয় ক্যারিয়ারে যে নার্গিস খুব বেশি সাফল্য পেয়েছেন এমনটা নয়। তবে মার্কিন মুলুকে জন্ম নার্গিসের বলিউডে ক্যারিয়ার গড়তে এসে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন কসরত করতে হয়েছে ঠিক তেমনি মুম্বাইতে এসেও নিত্যদিন নতুন নতুন সব বিষয় মানিয়ে নিতে হয়েছে।
প্রথমবার মায়ানগরী মুম্বাইতে পা রেখেই ঘর খুঁজতে গিয়ে অতিলৌকিক ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় নার্গিসকে। ভাড়া বাড়ি পেলেও থাকতে পারেননি সেখানকার অদ্ভুত সব কাণ্ডের কারণে। ঠিক কী ঘটেছিল সেই নার্গিসের সেই ফ্ল্যাটে?
‘রকস্টার’-এর সাফল্যের পর মুম্বাইতে বাড়ি খুঁজতে শুরু করেন অভিনেত্রী। বান্দ্রার অভিজাত এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন তিনি। তবে সেই ফ্ল্যাটে ঢোকার পর থেকেই একের পর এক অপ্রাকৃত ঘটনা ঘটতে থাকে অভিনেত্রীর সঙ্গে। রাতে ঘুমাতে পারতেন না নার্গিস। অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখতেন।
নার্গিসের কথায়, ‘‘স্বপ্নে এক ছয় ফুট লম্বা পুরুষকে দেখতাম। যে টেনে হিঁচড়ে আমাকে নিয়ে যাচ্ছে শ্মশানের দিকে। সেখানে সে মাংস খেত ও আমাকে খাওয়ার জন্য বাধ্য করত। রাতের পর রাত এই এক স্বপ্ন।’’
যদিও শেষে সেই ফ্ল্যাট ছেড়ে পাকাপাকি দিল্লিতে চলে যান অভিনেত্রী। তবে আসবাবপত্র রেখে আসেন সেই ফ্ল্যাটেই। যদিও পরে অভিনেত্রী জানতে পারেন, তার আলমারি থেকে নাকি উদ্ধার হয় ছ’টি মরা পাখি। তবে কী কারণে এই সব ঘটনা ঘটছিল, তার কোন ব্যাখ্যা আজও নেই নার্গিসের কাছে।
সূত্র: কইমই