ডিয়েগো ম্যারাডোনার অবদান ভোলার মতো নয় নাপোলির। কিংবদন্তির মৃত্যুর পর ২০২১ সালের নভেম্বরে স্টেডিয়ামের বাইরে একটি ভাস্কর্য স্থাপন করেছিল ইতালির ক্লাবটি। সেই ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাপোলির ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ভাস্কর্যটি নির্মাতাকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতানো ম্যারাডোনার হাত ধরেই সবশেষ ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে লিগ টাইটেল জিতেছিল নাপোলি। ৩৮ বছর পর আবারও ইতালিয়ান লিগ সিরি আতে শক্ত অবস্থানে আছে দলটি। ম্যারাডোনা না থাকলেও তাকে ভুলে যায়নি। নিজেদের স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে ম্যারাডোনার নামেই নামকরণ করেছে নাপোলি।
সেই স্তাদিও ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামেই থাকছে না তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বসানো ভাস্কর্যটি। তামা দিয়ে শিল্পী ডোমেনিকো সেপে এটি নির্মাণ করেছিলেন।
অন্যান্য খচর বাদে শুধু কাঁচামালেই প্রায় ৩০ হাজার ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৪ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছিল। অন্য খরচসহ এটির নির্মাণ ব্যয় আরও বেশি। ম্যারাডোনাকে ভালোবেসে নির্মাণ করা ভাস্কর্যটি যদিও ফেরত নিতে অনিচ্ছুক সেই শিল্পী।
অন্যদিকে এটি ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে সিটি কাউন্সিলর মেয়র গায়েতানো মানফ্রেদি প্রথমে দাবি জানান। দেশটির আইন অনুযায়ী, কিছু দান করতে চাইলে যিনি দান করবেন তার আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা থাকতে হবে। সিটি কাউন্সিল বিষয়টি তদন্ত করে জানতে পারে, শিল্পীর আর্থিক অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। যে কারণে এটি ফিরিয়ে দেয়াই সমীচীন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাঁ-পায়ের ম্যারাডোনাকে ডান পায়ে বল নিয়ে দৌড়াতে দেখা গেছে ভাস্কর্যটিতে। যদি ডোমেনিকো ফেরত নিতে নাও চান, তবে পার্শ্ববর্তী শহর ক্যাসালনুভোর কাউন্সিলর ভাস্কর্যটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এবছর নাপোলি লিগ শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ২৩ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট শীর্ষে আছে তারা। এক ম্যাচ কম খেলে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইন্টার মিলান।