কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামের স্মৃতিটা এখনো অনেকের কাছেই টাটকা। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম গোলটি করে বাংলাদেশকে লিড এনে দিয়েছিলেন সামসুন্নাহার জুনিয়র। মেয়েদের জাতীয় দল সেই ফাইনালে জিতে সাফের শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরেছিল।
জাতীয় দল তো বটেই, বয়সভিত্তিক দলেও দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে চলেছেন সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে লাল-সবুজের দলের অধিনায়ক। আসরে নেপালকে ৩-১ গোলে হারানোর ম্যাচে পেয়েছিলেন গোল। ফাউলের শিকার হয়ে চোটে পড়েন, ফিরে ভারতের বিপক্ষে খেললেও চেনাছন্দে ছিলেন না। ভুটানের সাথে সেই চেনা সামসুন্নাহারকেই পাওয়া গেল। হ্যাটট্রিক করলেন, জয়ে সামনে থেকেই ভূমিকা রাখলেন।
দুরন্ত পারফরম্যান্সের কল্যাণে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের আগ্রহের কেন্দ্রেও থাকছেন সামসুন্নাহার। ম্যাচ শেষে ভুটানের খেলোয়াড়দের তাকে ঘিরে জটলা, সামসুন্নাহারকে মাঝে রেখে সবাই ছবি তুললেন, কেউ কেউ দেখালেন বিজয়ী চিহ্ন।
বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে বললেন, ‘সামসুন্নাহারের ভক্ত ভুটানের অনেক খেলোয়াড়। আজ হ্যাটট্রিকও করেছে সে। তাই ভুটানের খেলোয়াড়রা তার সঙ্গে ছবি তুলল।’
সামসুন্নাহারের সঙ্গে গ্রুপ ছবি তোলেন ভুটানের মেয়েরা। সামসুন্নাহারও পরে সব সতীর্থকে ডেকে নিয়ে যান এবং ভুটানের সঙ্গে একটি গ্রুপ ছবি তোলেন। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ছবি তোলার সময় ভুটানের মেয়েদের মধ্যে দেখা গেছে উচ্ছ্বাস।
অধিনায়কের তারকাখ্যাতি নিয়ে ছোটন বললেন, ‘সামসুন্নাহার চোট পাওয়ার পর আমরা এটা নিয়ে অনেক কথা বলেছি। তখনও বলেছি, ওকে আমার দরকার। সে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। ওর থাকাটা দলে অনেকটা উদ্দীপনা তৈরি করে, ওর অভাবও আমরা অনুভব করি। অবশ্যই বলার অপেক্ষা রাখে না সামসুন্নাহার আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ফরোয়ার্ড ও অধিনায়ক শামসুন্নাহারকে দশের মধ্যে কত দেবেন? ছোটন বললেন, ‘৯।’