প্রথম সেশনে চার উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের ইনিংসের হাল ধরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ৪১তম ওভারে এসে ঘটিয়ে বসেন এক অদ্ভুত কাণ্ড, বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ‘হ্যান্ডেলড দ্য বল’ আউট হন তিনি। পরে সেই আউটের ব্যাখ্যা দিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)।
মুশফিকের আউটের ব্যাখ্যায় আইসিসি বলেছে, ২০১৭ সাল থেকে ‘হ্যান্ডেলড দ্য বল’কে মাঠে ইচ্ছাকৃত বাধা দেয়ার পরিধির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ক্রিকেটীয় আইনে ৩৭.১.১ ধারায় বলা আছে, অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডে ব্যাটার আউট হবেন, শুধুমাত্র ৩৭.২ ধারা ব্যতীত। যেখানে বলা হয়েছে খেলা চলমান থাকলে ব্যাটাররা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেয়া বা বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করেন, সেটা হতে পারে শব্দ বা কার্যক্রম দ্বারা। ৩৪ ধারা অনুযায়ী নতুন বলে দুবার আঘাত করলেও আউট ঘোষিত হবে।
৩৭.১.২ ধারায় বলা হয়েছে- অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডে আউট ঘোষিত হবে, শুধুমাত্র ৩৭.২ ধারা ব্যতীত। বোলার বল করার পর স্ট্রাইক ব্যাটাররা ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাট ছাড়া হাত দিয়ে বল ধরলে আউট হবেন। এটা প্রথম স্ট্রাইকার, দ্বিতীয় স্ট্রাইকার বা পরিবর্তিত ব্যাটারদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
যেহেতু খেলা চলছিল এবং মুশফিকুর রহিম ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ বল দূরে সরিয়ে দেন, এজন্য তাকে সাজঘরে পাঠানো হয়। ২০১৭ সালে আইনটি নতুন করে সংযোজন করার পর মুশফিক প্রথম ব্যাটার হিসেবে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট হলেন। তবে এরআগে ৭ জন ব্যাটার ‘হ্যান্ডেলড দ্য বল’ আউট হয়েছিলেন।
মিরপুর টেস্টের প্রথমদিনে ইনিংসের ৪১তম ওভারে জেমিসনের চতুর্থ ডেলিভারিটি ডিফেন্স করার চেষ্টা করেছিলেন মুশফিক। ব্যাটে লেগে বল একটু সামনে ড্রপ করে। সঙ্গে সঙ্গে হাত দিয়ে বল ধরেন মুশি। আউটের আবেদন জানায় নিউজিল্যান্ড। দুই ফিল্ড আম্পায়ার প্রথমে নিজেদের মধ্যে কথা বলেন, টিভি আম্পায়ারের শরণাপন্ন হয়ে শেষে মুশফিককে ‘হ্যান্ডেলড দ্য বল’ বা ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট দেন।