বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভয়ে ক্ষমতাসীনদের মুখ শুকিয়ে গেছে। এখন আর টেলিভিশনে চকচকে মুখ দেখা যায় না। চকচকে কাপড় পরে সামনে আসে না।
শুক্রবার ১৮ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর দয়াগঞ্জে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এখন ভয়ে নানা আবল-তাবোল বকছেন, বিদেশে পাচার করা সম্পদ ও বাড়ি রক্ষার দুশ্চিন্তায় তাদের রাতে ঘুম হয় না। সরকারি দলের নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, আজকে শেখ হাসিনা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলছেন। কোন সংবিধান? যে সংবিধান কাটাছেঁড়া করে শেষ করা হয়েছে। সেই সংবিধানের কথা বলছেন!
ফখরুল বলেন, আমেরিকার ভিসানীতির ভয়ে তারা অনেক উল্টাপাল্টা কথা বলা শুরু করেছে। এখন ভারত মহাসাগর আর আরব সাগর বলে লাভ নাই। কোন দিকেই পালানোর পথ নাই। মানে মানে কেটে পড়ুন, নয়তো জনগণের আন্দোলনে উত্তাল তরঙ্গে সুনামীর মতো ভেসে যেতে হবে।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনার সময় শেষ। এখন তিনি কীভাবে বিদায় নেবেন সেটা তাকে ভাবতে হবে। তাকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনাকে ১৮ কোটি মানুষ বিশ্বাস করে না। কেউ তাদের অধীনে ভোটে যাবে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে ১৮ কোটি মানুষ বাঁচবে না।
এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সকালে বিদেশিদের গালি দেয়, বিকেলে ফুলের ডালা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। গণতন্ত্রের পক্ষে, মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলে যে শক্তি, জনগণের আন্দোলনকে সমর্থন করে যারা তারাই বাংলাদেশে বন্ধু। যারা মানুষের ভোটাধিকারের বিপক্ষে কথা বলবে তারা কখনও বন্ধু হতে পারে না। কারা জনগণের পক্ষে আছে কারা বিপক্ষে আছে বাংলাদেশের মানুষ তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি আবদুস সালাম বলেন, গ্রেপ্তার করে আন্দোলন থামানো যাবে না। আমরা মারামারি চাই না। কিন্তু আওয়ামী লীগ মারামারি করতে চাইলে ছেড়ে দেওয়া হবে না।
সালাম বলেন, ‘আপনারা খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দী করেছেন। তাকে কী খাইয়েছেন? ধরা পড়ার ভয়ে তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দিচ্ছেন না।’