ভারতের কেরালার বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক আদালত যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা মামলায় একজন নারীকে ৪০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার রুপি জরিমানা করেছে। নিজের কন্যা শিশুকে প্রেমিকের হাতে ধর্ষণ করানোর অভিযোগ উঠেছে এই নারীর বিরুদ্ধে।
সোমবার ২৭ নভেম্বর আদালত এই রায় ঘোষণা করে। জানা গেছে, ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে ১০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতিনিয়ত এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নারী স্বামী মানসিক অসুস্থ হওয়ায় তাকে ছেড়ে প্রেমিকের সাথে থাকা শুরু করেন। তাদের সাথে আরও থাকত তাদের কন্যা শিশুও। একসাথে থাকার সময় অভিযুক্তের প্রেমিক অনেকবার শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এমন কি অভিযুক্ত মায়ের উপস্থিতিতেও তার শিশুকে ধর্ষণ করেন প্রেমিক।
শিশুটির ১১ বছর বয়সি বড় বোন বাসায় এলে তাকে সব ঘটনা জানায় নির্যাতিত শিশু। তবে এই নির্মম অত্যাচার থেকে রক্ষা পায় নাই বড় বোনও। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে গেলে হত্যার হুমকি দেয় মায়ের প্রেমিক। একপর্যায়ে বড় বোন ছোট বোনসহ দাদির বাসায় পালিয়ে আসে। সেখানে ঘটনা প্রকাশ করে শিশুরা।
স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আরএস বিজয় মোহন জানিয়েছেন, এই অপরাধের জন্য অভিযুক্ত মাকে ৪০বছরের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং ২০ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছে। স্বামী মানসিক অসুস্থ হওয়ায় তাকে ছেড়ে দুজন প্রেমিকের সাথে পালাবদল করে থাকতেন অভিযুক্ত মা। সেখানেই তার দুই প্রেমিকের হাতে দুই কন্যা শিশু শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়।
অভিযুক্ত মায়ের প্রথম প্রেমিক প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ৭ বছর বয়সি কন্যা শিশুকে ধর্ষণ করেন। সেই সময় শিশু কন্যা তার মাকে সব ঘটনা বললেও সে এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বরং তার প্রেমিককে আরও উৎসাহিত করে। তবে অভিযুক্ত মায়ের প্রথম প্রেমিক আত্মহত্যা করেন। শিশুরা বর্তমানে একটি শিশু নিবাসে বসবাস করছে।