রাজধানীর কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ২২ নভেম্বর দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
শুনানিকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী মাসুম আহমেদ তালুকদার বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বয়স ৮১ বছর। তিনি হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তার হার্টে চারটি ব্লক ধরা পড়েছে। ইতোপূর্বে তিনি বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন। ঘটনার দিন এবং ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী করেছেন, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনোকিছু বলা হয়নি। তাকে অযথা হয়রানি করার জন্য এই মামলায় জড়িত করা হয়েছে।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, এই ঘটনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নির্দেশদাতা ও উসকানিদাতা হিসেবে জড়িত করা হয়েছে। তিনিসহ অন্যান্য নেতাদের উসকানি এবং নির্দেশ মোতাবেক বিএনপির নেতাকর্মীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বর্তমানে মামলাটি প্রাথমিক তদন্ত পর্যায়ে আছে।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শেষে আদালত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। ওই দিন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মির্জা ফখরুলকে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।