বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক ৯ মামলার নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার ১৮ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন গ্রহণ করে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক ১০ মামলার জামিনের চেয়ে রিট আবেদন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১০ মামলার রিটে পল্টন থানার ৭টি এবং রমনা থানার ৩টি মামলা রয়েছে। মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন গণমাধ্যমকে জানান, সিএমএম আদালতে ১০টি মামলা বিচারাধীন আছে। এই মামলাগুলোতে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার না দেখানোর কারণে তার জামিন আবেদন করা হয়, যা ১২ ডিসেম্বর নিম্ন আদালত গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে আমরা জামিন আবেদনগুলোর নিষ্পত্তি চেয়ে রিট আবেদন করি।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিকেল তিনটার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।
এই ঘটনার পর ওইদিন মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অন্যদিকে গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।