চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

১০ ডিসেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে সরকার ভয়ে আছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে সরকার ভয়ে আছে। সেজন্য গায়েবী মামলা দিয়ে ও জঙ্গীবাদের ধোয়া তুলে বিরোধীমত দমনে ব্যস্ত হয়েছে তারা। কোন তালবাহানা নয়, তাদেরকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে।

রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আজ শনিবার বিকেলে বিভাগীয় গণসমাবেশে ফখরুল এসব কথা বলেন। সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিএনপির এই গণসমাবেশ শুরু হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন: ১০ তারিখের সমাবেশ নিয়ে সরকারের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। সেদিন নাকি তারা উড়ে যাবে। জনগণের প্রতি তাদের আস্থা নেই। চোরের মন পুলিশ পুলিশ। নয়াপল্টনে এর আগে অনেক সমাবেশ করেছি, তখন তো সমস্যা হয়নি। এখন কেন এত সমস্যা?

ফখরুল বলেন, ‘১০ টাকার চাল নেই, ঘরে ঘরে চাকরি নেই। কৃষকেরা ফসলের দাম পায় না। বিনামূল্যে সার পায় না। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।  আমরা যদি রুখে দাঁড়াতে  না পারি , ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সেই অর্জন নষ্ট হয়ে যাবে।’

সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এবার শেখ হাসিনাকে পতদ্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ গঠন হবে।’

‘সরকার পরিকল্পিতভাবে অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, রাজনীতি ধ্বংস করছে’ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান জাতীয় সরকারের কথা বলছেন। বাংলাদেশে জাতীয় সরকার গঠন হবে। দেশে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে হবে। অর্থনীতিকে চাঙা করে তুলতে হবে। তাই জেগে উঠতে হবে, দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের অনুমতি দেওয়া না দেওয়ার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘নয়াপল্টনেই আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে সমাবেশে করেছি। লাখ লাখ লোকের সমাবেশ হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ হলে আওয়ামী লীগের তক্তপোষ উপড়ে যাবে। জনগণের প্রতি তাদের আস্তা নাই বলে আওয়ামী লীগ প্রতি মুহূর্তে ভয় পায়, ক্ষমতা বুঝি এই গেল এই গেল।’

জঙ্গির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপিকে ধরার জন্য যখন মনে হয় জঙ্গি তৈরি করে। আওয়ামী লীগ নিজেরা অগ্নিসন্ত্রাস করে বাস পোড়ায়, আর বলে বিএনপির লোকেরা নাকি এসব করেছে।’

গণসমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘১২ হাজার নতুন কোটিপতি হয়েছেন, সাড়ে তিন কোটি হয়েছেন অতি দ্ররিদ্র। কার উন্নয়ন করেছে সরকার? হালাল উপার্জন করে কে শান্তিতে আছে? একজন মানুষ বের করুন। তাই সাধারণ মানুষ পরিবর্তন চায়। সেই আসায় কোনো বাধা দিয়ে মানুষকে সমাবেশে আসতে আটকে রাখতে পারছেন না।’

নজরুল বলেন, ‘আমাদের নানাভাবে উসকানি দিচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মী মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা যাতে প্রতিবাদ করি, যাতে তারা দেখাতে পারে—আমরা উচ্ছৃঙ্খল। অথচ আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। রক্ত চক্ষু দেখে আমরা ভয় পাই না, বন্দুক নিয়ে ৫০ বছর আগে যুদ্ধ করেছি।’