প্রয়াত লেখক, গবেষক, শিশু সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সারের চরিত্রে অভিনয় করছেন বিদ্যা সিনহা মিম। ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ ছবিতে তার চরিত্রটি করতে গিয়ে এর প্রেমে পড়েছেন এই তারকা!
মিম বলেন, পান্না আন্টি একেবারে নরম মনের মানুষ ছিলেন। তিনি কখনও চিৎকার করে কথা বলেননি। আমি এই চরিত্রের প্রেমে পড়েছি। তার সম্পর্কে জানতে এবং তার চরিত্রটি করতে গিয়ে আমি তার প্রেমে পড়েছি।
শমী কায়সারের প্রযোজনায় ওয়াহিদ তারেক পরিচালিত ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ ছবিটির শুটিং প্রায় শেষের দিকে। রবিবার এফডিসিতে শেষ দিকের শুটিং চলছিল। শুটিং সেটে গিয়ে দেখা যায়, চিত্রনায়িকা মিম যেন পুরোপুরি পান্না কায়সার!
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে মিম বলেন, তার হাঁটা চলা সবকিছু অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করার চেষ্টা করছি। একাধিকবার রিহার্সেল করেছি। শুরুর দিকে নিজের আউটফিটের রিহার্সেল করতাম। পরে তার লুক নিয়ে যখন রিহার্সেল করতাম তখন পরিচালক ওয়াহিদ তারেক ভাইয়া বলতেন এখন ঠিকঠাক। পান্না আন্টির একাধিক শাড়ি এই ছবিতে আমি পরেছি। তিনি যখন যেখানে যে শাড়ি পরতেন শমী আপু আমাকে তার সেই শাড়িগুলো দিয়েছেন।
শমী কায়সারের মা পান্না কায়সার, তার মায়ের চরিত্র মিম কেমন করছেন সেটা দেখার জন্য দ্বিতীয় দিন শুটিং স্পটে এসেছিলেন। শমী কায়সার আসায় ভীষণ নার্ভাস ছিলেন মিম। তিনি বলেন, শমী আপা আসায় আমার মনোযোগ আরও বেড়ে যায়। আরও বেশি সিরিয়াস হই যেন শমী আপু পছন্দ করেন।
মিম বলেন, শমী আপু গল্পটা শোনালেন। তার মায়ের চরিত্রে আমি ছাড়া কাউকে দেখছেন না শুনে আমি তো অবাক! যে শমী আপুকে ছোটবেলা থেকে দেখে বড় হয়েছি, যার অভিনয় প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করেছে, ব্যক্তিত্বে অনুপ্রাণিত হয়েছি, সেই শমী কায়সারের মায়ের চরিত্র! চোখ বন্ধ করেই হ্যাঁ বলে দিয়েছি।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এ ছবিটি প্রযোজনা করছেন কায়সার দম্পতীর কন্যা শমী কায়সার। এই ছবিতে পান্না কায়সারের স্বামী লেখক, বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের চরিত্রের অভিনেতা মোস্তফা মনোয়ার।