দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র কাদের মিয়ার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী কাউন্সিলর।
শনিবার ৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টার দিকে ঘোড়াঘাট পৌরসভার হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। ঘোড়াঘাট থানায় এনিয়ে অভিযোগ দায়েরও করেছেন ওই নারী কাউন্সিলর।
সংবাদ সম্মেলন এবং থানায় অভিযোগে ওই ভুক্তভোগী নারী কাউন্সিলর লিখিত বক্তব্যে বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আবদুল কাদের মিয়া আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। সুযোগ বুঝে বেশ কয়েকবার আমার শরীরে হাতও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আত্মসম্মানের ভয়ে কারও কাছে কিছু বলতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, আবদুল কাদের মিয়াকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টাসহ এমন কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেও হয়রানি থেকে মুক্তি মেলেনি।
গত ২১ জানুয়ারি প্যানেল মেয়র আবদুল কাদের মিয়া তার ফোন থেকে আমাকে ফোন দিয়ে তার বাড়িতে আসতে বলেন। তার সব কল রেকর্ড করে রাখা আছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক পৌর মেয়র আব্দুস ছাত্তার মিলনকে মৌখিকভাবে অবগত করা হয়। একই সঙ্গে গত ২৩ জানুয়ারি লিখিতভাবে মেয়রের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়।
নারী কাউন্সিলর হয়রানির ঘটনার বিষয়ে ঘোড়াঘাট পৌর মেয়র আব্দুস ছাত্তার মিলনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন,’আমি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণায়লয়ের বিভিন্ন দপ্তরে অবগত করেছি। মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক নির্দেশ মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ভুক্তভোগী নারী আরও জানান, এ হয়রানির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ঘোড়াঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আব্দুস সালাম জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে মামলা হয়েছে। আসামি পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামিকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চলছে।
অভিযুক্ত আব্দুল কাদের প্যানেল মেয়রের পাশাপাশি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এবং ভুক্তভোগী সংরক্ষিত-৩ নং ওয়ার্ডের(৭, ৮ ও ৯) মহিলা কাউন্সিলর।