আবারও আলো ছড়াল লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ জুটি। একবার করে জালের দেখা দুজনই পেয়েছেন। তবুও জয় পায়নি ইন্টার মিয়ামি। পয়েন্ট হারানোর সেই ম্যাচে ন্যাশভিলের খেলোয়াড়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায়ও জড়ান বিশ্বজয়ী মেসি। সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন দলটির কোচ টাটা মার্টিনো।
কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে শুক্রবার সকালে প্রথম লেগে ন্যাশভিলের মাঠ থেকে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে ফিরেছে মেসি-সুয়ারেজরা। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে আর্জেন্টাইন মহাতারকার গোলে ব্যবধান কমানোর পর ঘটে বাকবিতণ্ডার ঘটনা।
ন্যাশভিলের খেলোয়াড়েরা সুয়ারেজকে আটকাতে ব্যস্ত। মেসির বেলাতেও একই কাজ করতে গিয়ে আর্জেন্টাইন মহাতারকার পায়ে আঘাত দিয়ে বসেন প্রতিপক্ষ দলের এক খেলোয়াড়। এলএম টেন সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সতীর্থের পক্ষ নিতে সুয়ারেজ তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে মেসিও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
খেলা শেষে মাটিনো বলেন, ‘গডোয়ের মুখোমুখি ছিলেন মেসি এবং দুজনে একে অপরকে হাতের ইশারা এবং অন্য কিছু দিয়ে বেশ কয়েকটি কথা বলেছিলেন। লিওকে এই প্রথম নয়, এর আগেও আমরা এমন রাগতে দেখেছি। ম্যাচে তিনি একটি কিক পেয়েছিলেন, যদিও তারা সেটির ভিএআরও নেয়নি। যে কারণেই প্রতিপক্ষ ও রেফারির উপর রেগে যান। লিওর জন্য ম্যাচটা মোটেও স্বস্তির ছিল না।’
‘ম্যাচ শেষে মেসি ক্লান্ত ছিল, এছাড়া সবকিছু ঠিক আছে। আমরা রাইট ব্যাকের সাথে ইম্প্রোভাইজ করতে যাচ্ছিলাম এবং ওই কারণেই আমরা পাঁচজনের একটি লাইন বেছে নিয়েছিলাম। রেদোন্দো সঠিক খেলা খেলেছে মিডফিল্ডে তীব্রতা নিয়ে, এটা বুসকেটসকে সাহায্য করেছে।’
‘আমরা নিজেদের অধ্যবসায়ের জন্য পুরস্কৃত হয়েছি। ন্যাশভিলের বিপক্ষে ম্যাচগুলো সবসময় কঠিন। আমরা ফিরতি ম্যাচের জন্য ভালো অবস্থানে আছি। এই ফলাফলে আমি সন্তুষ্ট। ম্যাচের শুরুতে আমরা অনেকবার ব্যর্থ হয়েছি, ৩-০ গোলে হারতে পারতাম, অহেতুক একটা ঝুঁকি ছিল।’