ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে গাজার কিবুতজ নির ওজ এলাকায় গত অক্টোবরে একটি পরিবার অপহরণের শিকার হয়েছিল। ওই পরিবারের ৯০ বছর বয়সী এক নারী নিজেকে লিওনেল মেসির দেশের মানুষ পরিচয় দেয়ায় হামাসের সদস্যরা তাকে ছেড়ে দেয়। তবে অপহরণের শিকার হন তার নাতী-নাতনী।
ওই নারীর নাম এস্টার কুনিও এবং হামাসের অপহরণের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি তাকে বলেছিলাম আর্জেন্টাইন, স্প্যানিশে কথা বলতে পারি। আমি তাদের ভাষা বুঝতে পারিনি। আরবী ভাষা এবং আমি খুব কম হিব্রু ভাষায় কথা বলতে পারি। আমি আর্জেন্টাইন স্প্যানিশে কথা বলি, তখন সে জিজ্ঞেস করে আর্জেন্টিনা কি।’
‘তখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি ফুটবল দেখো? সে বললো আমি ফুটবল পছন্দ করি এবং তাকে বলেছিলাম আমি মেসির দেশের মানুষ। তখন সে বিস্ময় প্রকাশ করে এবং বলে আমি মেসিকে ভালোবাসি। সে আমার কাঁধে হাত রেখে বন্দুক আমাকে দেয় এবং শান্তির চিহ্ন দেখিয়ে একটি ছবি তোলে।’
‘যদি মেসি জানে যে আমি তাকে উল্লেখ করে রক্ষা পেয়েছি, তবে বলব আমার নাতি-নাতনিরা সেখানে আটক রয়েছে। আমি তাকে বলব দয়া করে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন, কারণ তারা আমার কাছে সোনার মতো মূল্যবান।’ মেসির হস্তক্ষেপে নাতি-নাতনিদের মুক্ত করতে চান এস্টার কুনিও।