প্রাক মৌসুম প্রীতি ম্যাচে হংকং একাদশের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলেননি লিওনেল মেসি। চোটের কারণে সেই ম্যাচে খেলতে না পারলেও আলোচনায় আসে রাজনৈতিক কারণে খেলেননি আর্জেন্টাইন মহাতারকা। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মেসি ও আর্জেন্টিনার উপর চটে যায় চীন। এবার এশিয়ার দেশটিকে শান্ত করতে তাদেরই একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন বিশ্বজয়ী ফুটবলার।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে চীন সফরে হংকং একাদশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটি খেলেন ইন্টার মিয়ামি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির ৪-১ গোলে জয়ের ম্যাচে পুরোটা সময় বেঞ্চে বসে কাটান মেসি।
দর্শকদের পাশাপাশি হংকংয়ের রাজনীতিবিদরা এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সমালোচনায় সরব হয় চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম। মার্চে চীনের হাংঝুতে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় ম্যাচটি বাতিল করে দিয়েছে দেশটির ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ।
এমন বাস্তবতায় চীনের একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবোতে সোমবার পোস্ট করা ভিডিওতে মেসি বলেন, ‘হংকংয়ের ওই ম্যাচটির পরে আমি অনেক কিছুই পড়েছি এবং শুনেছি। সবকিছু দেখে আমার মনে হয়েছে, বিষয়টি পরিষ্কার করা দরকার। সকলের সত্যটা জানা উচিৎ। তাতে কারোর মিথ্যা গল্প পড়তে হবে না।’
‘লোকদের বলতে শুনেছি, আমি নাকি রাজনৈতিক কারণে খেলতে চাইনি। এছাড়াও আরও অনেকগুলো কারণ আমি শুনেছি, যা সম্পূর্ণ অসত্য। যদি এমন কিছুই হতো, তাহলে আমি জাপান বা চীন সফরে যেতাম না, যা আগেও অনেকবার আমি গিয়েছি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে চীনের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ট ও বিশেষ একটা সম্পর্ক আছে।’
‘যেমনটা আগের সংবাদ সম্মেলনেও বলেছিলাম, আমার পেশিতে চোট ছিল এবং সৌদি আরবে প্রথম ম্যাচেও খেলতে পারিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে কিছুটা সময় খেলার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সমস্যা আরও বাড়ে। এরপর হংকং ম্যাচের আগের দিন অনেকেই আমার অনুশীলন দেখতে এসেছিলেন। যে কারণে আমিও অনুশীলন চালিয়ে যেতে চেষ্টা করেছিলাম।’
‘কয়েকদিন পরে চোটের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার কারণেই জাপানে কিছুক্ষণ খেলেছি। আর নিজের ফিটনেস ফিরে পেতে এবং গতিতে ফিরতে সেই ম্যাচটি খেলেছিলাম।’
মূলত ইন্টার মিয়ামির হয়ে মেসির হংকং সফরের পর থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। প্রাক মৌসুমে এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে হংকং একাদশের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দলটি। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে সেই ম্যাচে বেঞ্চেই ছিলন ৩৬ বর্ষী মেসি।
হংকংয়ে সেদিন মেসিকে ঘিরেই ছিল মূল আকর্ষণ ছিল। ৪০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এমনকি ১২ ঘণ্টা ভ্রমণ করেও মেসিকে দেখতে অনেকে গিয়েছিলেন।
অনেক দর্শক পাঁচ হাজার হংকং ডলারের (প্রায় ৬৫০ মার্কিন ডলার) টিকিট কেটে খেলা দেখেছেন। এলএম টেনকে সেদিন মাঠে না নামানোয় তাদের বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। একইসঙ্গে তারা টিকিটের টাকাও ফেরত চেয়েছেন।