বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্দেজ ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে লিওনেল মেসিকে ন্যু ক্যাম্পে ফিরিয়ে আনতে ক্লাবকে অনুরোধ করেছেন। এমন খবর দিয়েছে কাতালোনিয়ার এক গণমাধ্যম।
জাভির বিশ্বাস, মেসির বৈশ্বিক ভাবমূর্তির কারণে তার প্রত্যাবর্তন খেলা ও আর্থিকভাবে আগামী বছরগুলোতে বার্সার জন্য হবে সাফল্যের চাবিকাঠি। সেজন্য জাভি সামনের বছর আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে ফ্রি ট্রান্সফারে চুক্তি করানোর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বলেছেন।
শুরু হতে চলা মৌসুম শেষে পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। বার্সার জন্য ওই সময় তাকে ফ্রি ট্রান্সফারে স্পেনে ফেরানোর চেষ্টা মন্দ হবে না। অবশ্য মেসির সঙ্গে এক বছরের চুক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে পিএসজিও। এলএম থার্টির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় বসতে চলছে প্রস্তুতি।
আর্থিক দুর্দশার কারণে মেসিকে ধরে রাখতে পারেনি বার্সেলোনা। ২০২১ সালে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ৩৫ বর্ষী মহাতারকা প্যারিসে পাড়ি জমাতে বাধ্য হন। পিএসজি তাকে দলে টানার পর স্পন্সরশিপ এবং চুক্তির মাধ্যমে অনেকবেশি অর্থ উপার্জন করতে শুরু করেছে, যা আগে ঘটেনি।
অন্যদিকে মেসির অনুপস্থিতিতে বার্সেলোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দলটির অর্থের ভাণ্ডারে আরও বড় প্রভাব পড়েছে। দুই দশকের মধ্যে প্রথমবার কোনো আসরে ট্রফি ছাড়া মৌসুম পার করেছে কাতালানরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতাও হারিয়েছিল।
জাভি মনে করেন, মেসির ফিরে আসা বার্সাকে আবারও শীর্ষ পর্যায়ে ফিরে যেতে সাহায্য করতে পারে। তাকে হারিয়ে বার্সেলোনা বিশ্ব ফুটবলে যে মর্যাদা হারিয়েছে, সেটি আবার খুঁজে পাবে। ক্যারিয়ারের শেষে মেসির শৈশবের ক্লাবে ফেরা হতে পারে চমৎকার খবর।
বর্তমান বাস্তবতায় জাভির চাওয়া পূরণ হওয়া নিয়ে সংশয় থাকছেই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার জন্য মরিয়া পিএসজি অবধারিতভাবেই মেসিকে ধরে রাখতে চাইবে। মেসির ইমেজ সত্ত্ব ও বিপণনের মাধ্যমে ফ্রেঞ্চ ক্লাবটি মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করছে। গত বছর দলের যে জার্সি বিক্রি হয়েছে তার ৬০ শতাংশই ছিল মেসির।
বহু নাটকের পর বার্সেলোনা ছেড়ে মেসি প্যারিসে আসার পর পিএসজি প্রেসিডেন্ট নাসের আল-খেলাইফির জন্য গত বছর ছিল সবচেয়ে লাভজনক। তিনি ৭০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন, যা আর্জেন্টাইন মহাতারকার আসার আগে কখনো ঘটেনি। মেসি আসার পর নয়টি বড় স্পন্সর পেয়েছে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
পিএসজির বাণিজ্যিক পরিচালক মার্ক আর্মস্ট্রং জানিয়েছেন, মেসি ক্লাবে যোগ দেয়ার পর তাদের বেশিরভাগ স্পন্সরশিপ চুক্তি বাড়ানো হয়েছে। গড়ে প্রতি ব্র্যান্ডের মূল্য ৩-৫ মিলিয়ন থেকে ৫-৮ মিলিয়নে যেয়ে দাঁড়িয়েছে।