ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অভিযান শুরু করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেন লিওনেল মেসি। ৮৯ মিনিটে এলএম টেনকে মাঠ থেকে তুলে নেন বিশ্বজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি। শেষমুহূর্তে অধিনায়ককে মাঠ ছাড়তে দেখে সমর্থকদের মধ্যে শঙ্কা জাগে চোট নিয়ে।
ম্যাচের পর অবশ্য মেসি জানিয়েছেন সুস্থ আছেন। বলেছেন, ‘এটা খুব কঠিন ম্যাচ ছিল। তাছাড়া আমি একটু ক্লান্ত ছিলাম, তাই মাঠ থেকে বেরিয়ে এসেছি। এটি সম্ভবত ম্যাচের শেষ মিনিটে ছিল। সবকিছুই ঠিকঠাক আছে, আমিও ভালো অনুভব করছি।’
ইকুয়েডর ম্যাচ নিয়ে মেসি বলেছেন, ‘আমরা জানি বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো কঠিন হয়। ইকুয়েডরেও ভালো কিছু খেলোয়াড় আছে। তারা জানে তাদের কি দরকার। শারীরিকভাবে ম্যাচে তারা খুব ভালো ছিল।’
যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডাতে হতে চলা ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়েও বেশ আশাবাদী সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি। বিশ্বকাপ জয়ের পর শিরোপাধারীদের বিপক্ষে সকলেই জয়ের জন্য মাঠে নামছে, সবটুকু উজাড় করে দিচ্ছে, এমন মনে করছেন মহাতারকা।
‘কিছুদিন আগে আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এখন মনে হচ্ছে অনেক বড়কিছুই ঘটেছে। আমাদের চ্যাম্পিয়নের মতোই এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। পরের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সামনে আমাদের প্রচুর ম্যাচ রয়েছে।’
সাউথ আমেরিকা অঞ্চল থেকে বাছাইপর্বে অংশ নেয়া ১০ দল ১৮টি করে ম্যাচ খেলবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ৬ দল সরাসরি সুযোগ পাবে ২০২৬ বিশ্বকাপে যাওয়ার। সপ্তম দলকে খেলতে হবে আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফ।
৩৬ বর্ষী মেসি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের পর আমরা চারটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলাম। কিন্তু এখন আমাদের পয়েন্টের জন্য খেলতে হবে। এখানে আরাম করার সুযোগ নেই। সবাই এখন আর্জেন্টিনাকে হারাতে চায়। কারণ আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।’
স্তাদিও মাস মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকালে ম্যাচের ৭১ শতাংশ সময় আকাশী-নীলরা বল নিজেদের দখলে রাখে। শুধু জালের দেখা পাচ্ছিল না আলবিসেলেস্তে দল। সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ত্রাতা হয়ে শেষপর্যন্ত বাঁ-পায়ের ফ্রি-কিকে করেন লক্ষ্যভেদ।
ম্যাচের ৭৮ মিনিটে বাঁ-পায়ের জাদুতে ডেডলক ভাঙেন এলএম টেন। বক্সের কাছাকাছি থেকে নেয়া মেসির ফ্রি-কিকে খুঁজে পান জাল। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা লিড পায়। ২০২৩ সালে আর্জেন্টিনার জার্সিতে চার ম্যাচ খেলে ষষ্ঠ গোলের দেখা পেলেন কিংবদন্তি মেসি।