ব্রাজিল বিশ্বকাপে ফাইনালে জার্মানির কাছে হার। রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ১৬তে ফ্রান্সের কাছে কাটা পড়া। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ের স্বপ্নভঙ্গের বছর দীর্ঘ হচ্ছিল। টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত থেকে সৌদি আরবের কাছে প্রথম ম্যাচেই হার, কাতার বিশ্বকাপেও অপেক্ষার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছিলে। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে দ্বিতীয় ম্যাচটি মেক্সিকোর বিপক্ষে ছিল। গুরুত্বপূর্ণ ওই ম্যাচ জিতবেন, এমন আত্মবিশ্বাস ছিল মেসিদের। আর্জেন্টাইন এক গণমাধ্যমে সাক্ষাতকারে বলেছেন এলএম টেন।
‘সৌদি আরবের কাছে হারের পরও আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম ভালো করব। আমাদের বিপক্ষে সৌদি ম্যাচটি জিতবে, এমন আশা করিনি। ভালো খেলে জিতেছিল দলটি। হার দিয়ে বিশ্বকাপের মতো আসর শুরু করাটা অনেক কঠিন। পরের ম্যাচে জয় আবশ্যক হয়। তা না হলে অন্যদের উপর নির্ভর করতে হতো। আমরা যদি হারতাম, আমাদের কোনো পথ খোলা থাকত না।’
হারের পর দলের পরিস্থিতি কেমন ছিল, কী কথা হয়েছিল, সেটিও তুলে ধরেছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি সেটা কঠিন, চলো আমরা এখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করি। ভুলে যাও আমরা কি খেলেছি, সবসময় যেমন খেলি সেটাই খেলার চেষ্টা করো। ৩৫ ম্যাচ (আসলে ৩৬) অপরাজিত থেকে এসেছিলাম। আমরা যদি স্বাভাবিক খেলতে পারি তাহলে মেক্সিকোর উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারবো। যদিও তারা অনেক ভালো দল এবং আমাদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে।’
‘মুখোমুখি খেলায় আমরা এগিয়ে এবং ধৈর্য ধরে স্থিরভাবে খেলতে পারলে আমরা জিতবো জানতাম। খেলাটা ধৈর্য ধরে শেষ করা কঠিন ছিল। ওই সময় আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম এবং বেশকিছু বল হারিয়েছিলাম। কিন্তু খেলার ধরন হিসেবে সেটা ঠিক ছিল।’ নিজেদের শক্তিমত্তায় ভরসা রাখার বিষয়ে বলেন মেসি।

‘পোল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের ভালো একটি ম্যাচ হয়েছিল। পেনাল্টি মিস করার পরও একইভাবে খেলা চালিয়ে যেতে থাকি। আমরা খেলাকে আরও নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি, যেমনটা সৌদির সাথে হারার আগে করেছি। সৌদির সঙ্গে হারাটা ছিল কাকতালীয়। প্রথমার্ধে আমরা অনেকগুলো সুযোগ মিস করেছি এবং যদি ২-০তে এগিয়ে যেতাম, পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। তারা দুবার এসেই দুটি গোল করেছিল, যা আমাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে দেয়। ওটাই ছিল আমাদের প্রত্যাবর্তনের গল্প।’ ফিরে আসার গল্প এভাবেই তুলে ধরেছেন আর্জেন্টিনার প্রাণভোমড়া।