যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির দু’বছর বয়সী ইসলা ম্যাকন্যাব উচ্চ আইকিউ পর্যায়ে মেনসার সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হওয়ার অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তার ব্যতিক্রমী এই বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলা স্ট্যানফোর্ড-বিনেট ইন্টেলিজেন্স স্কেলে তার বয়সের জন্য নির্ধারিত স্কোরের ৯৯ শতাংশ স্কোর করেছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ বলছে, এই শিশু প্রডিজি জ্ঞানীয় ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। আর এটি তার বয়সের তুলনায় অনেকাংশে বেশি, যা সামনে প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যত প্রদর্শন করে। প্রডিজি হচ্ছে বিস্ময়কর কোনো ব্যক্তি বা বস্তু, যার মাঝে অনন্য সাধারণ গুণাবলি রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মেনসা ইন্টারন্যাশনাল হলো বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষদের নিয়ে গঠিত সর্ববৃহৎ এবং প্রাচীনতম একটি সংস্থা। এতে ১০০ এর বেশি দেশের এক লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছে। এর সদস্য হওয়ার জন্য প্রত্যেককে একটি প্রমিত আইকিউ পরীক্ষায় ৯৮ শতাংশ বা তার বেশি স্কোর করতে হবে। অর্থ্যাৎ, তারা বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে জনসংখ্যার শীর্ষ ২ শতাংশ এর মধ্যে রয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, ইসলাকে বাসা থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসার সময় তার বাবা-মা লক্ষ্য করেছিলেন ইসলা বেশ মনোযোগী। তবে তার চেহারা চাপমুক্ত ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র এক বছর বয়স থেকে ইসলা রং, সংখ্যা এবং বর্ণমালা শিখতে শুরু করে।
ইসলার বাবা জেসন ম্যাকন্যাব বলেন, ‘মাত্র সাত মাস বয়সে ইসলাকে কিছু জিজ্ঞেস করলে সে ছবির বই থেকে তা বাছাই করে দেখাতে পারতো।’ তিনি বলেন, একজন মনোবিজ্ঞানী ইসলাকে পরীক্ষা করে বলেন, ‘ইসলা প্রতিভাধর শিশুদের মধ্যে একজন বিশেষজ্ঞ।’
ইসলার বাবা বলেন, ‘তিনি বলেছেন সাধারণত দু’বছরের কম বয়সী শিশুদের তিনি পরীক্ষা করেন না। তবে ইসলার প্রতিভা সম্পর্কে শোনার পর তিনি তাকে দেখতে রাজি হন। পরে ইসলাকে প্রতিভাধর একজন বিশেষজ্ঞ বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।’