আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে একমাত্র টেস্টের সিরিজে ৫৪৬ রানের ব্যবধানে রেকর্ড জয়ে ব্যাটার-বোলারদের ছিল দাপট। তবে সেটির সামান্য প্রভাবই পড়েছে সদ্য প্রকাশিত আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে। টাইগারদের কারও র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির ছোঁয়া লাগেনি।
র্যাঙ্কিংয়ে এগোননি দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত, শতক হাঁকানো মুমিনুল হকও আগের জায়গাতেই আছেন। নেতৃত্ব দেয়া লিটন দাসের অবশ্য অবনতি হয়েছে অপরাজিত দারুণ এক ফিফটির পরও।
ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে লিটনের বর্তমান অবস্থান ১৮। মিরপুর টেস্টের আগে তিনি ১৭তে ছিলেন। দুই ইনিংসে ৯ ও অপরাজিত ৬৬ রানের অবদান ছিল তার। ৪৭ ও ৮ রান করা মুশফিকুর রহিমের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের মতো ২১তম স্থানেই আছেন উইকেটকিপার-ব্যাটার।
তবে টেস্ট না খেলেও একধাপ উন্নতি হয়ে ৪০-এ এসেছেন টাইগারদের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টির নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগের ৪৬-এ আছেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া মমিনুল হকের অবস্থানেরও কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৫৩তেই আছেন ১৫ ও অপরাজিত ১২১ রান করা বাঁহাতি ব্যাটার।
দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া বাঁহাতি টপঅর্ডার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির দেখা পাননি। মিরপুরে দুই ইনিংসে ১৪৬ ও ১২৪ রানে এক টেস্টে মোট ২৭০ রান করেও তিনি আগের ৫৪তেই আছেন।
ব্যাটারদের মধ্যে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়, মেহেদী হাসান মিরাজ সেরা ১০০তে থাকলেও অবস্থানের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি তাদের।
বোলিংয়েও চমক নেই বাংলাদেশের। মিরপুর টেস্টের পর র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়নি ২ উইকেট নেয়া বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের, আছেন আগের ২১তম স্থানেই। একধাপ উন্নতি হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের, ২৫-এ অবস্থান অফস্পিন-অলরাউন্ডারের, নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। না খেলা সাকিব আছেন আগের ২৯-এ।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫ উইকেট নেয়া ইবাদত হোসেন, ৫ উইকেট নেয়া শরিফুল ইসলাম, ৪ উইকেট নেয়া তাসকিন আহমেদ র্যাঙ্কিংয়ে সেরা ১০০তে থাকলেও এগোতে পারেননি।
অলরাউন্ডার তালিকার র্যাঙ্কিংয়েও ফিকে টাইগাররা, সেরা ২০-এর তিনে সাকিব আল হাসান এবং আগের মতো ১৪তম স্থানেই আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
টেস্টের ব্যাটারদের মধ্যে ইংল্যান্ডের জো রুট উঠে গেছেন র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে, তাকে জায়গা ছেড়ে তিনে নেমে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেন।