এশিয়া সফরের জন্য কাইলিয়ান এমবাপেকে ছাড়াই দল দিয়েছে পিএসজি। এতে এমবাপেকে চাপে রাখা হয়েছে বলে দাবি ফ্রান্সের পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব প্রফেশনাল ফুটবলার্সের (ইউএনএফপি)। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের এ ব্যাপারে সতর্কও করে দিয়েছে সংগঠনটি।
ইউএনএফপি বিবৃতিতে জানায়, ‘অন্যসব পেশার মতো খেলোয়াড়দেরও কাজের ক্ষেত্রে একইরকম পরিবেশ প্রয়োজন। সব পরিচালকদের এটা মনে করিয়ে দিতে হবে কর্মচারীর উপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না।’
‘উদাহরণস্বরূপ নিয়োগকর্তার চাওয়া অনুযায়ী কাজ ছেড়ে দিতে বা গ্রহণ করতে বাধ্য করা- নৈতিক হয়রানির মধ্যে পড়ে। ফরাসি আইনে নিন্দনীয়। সুতরাং, কোনো ক্লাব এই ধরনের আচরণ করলে, ইউএনএফপির অধিকার আছে তাদের বিরুদ্ধে নাগরিক ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার।’
গত মৌসুমে পিএসজি ছাড়তে চেয়েছিলেন এমবাপে, সেটি হয়ে ওঠেনি। দুবছরের চুক্তিতে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে থেকে যান ২৪ বর্ষী ফরোয়ার্ড। এবার অবশ্য লিওনেল মেসি দল ছাড়ার পর পিএসজিকে চিঠি দিয়ে জানান, ২০২৪ সালের জুনে চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করে চলে যাবেন। আর তাতেই বাধে বিপত্তি।
এএস মোনাকো থেকে ২০১৭ সালে ১৮০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে এমবাপেকে পিএসজিতে আনা হয়েছিল। সেই অর্থ আদৌ উঠিয়ে আনতে পারবে কিনা, তা নিয়ে ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা সংশয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই লিওনেল মেসিকে বিনামূল্যে ছেড়েছে পিএসজি। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেজন্যই গত পাঁচ মৌসুমে লিগ ওয়ানের সর্বাধিক গোলদাতাকে নতুন চুক্তির জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে।
খবরে হয়েছে, ১০ বছরের জন্য ১০০ কোটি ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ১৬১ কোটি টাকারও বেশি, এমন চুক্তির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তারকা ফরোয়ার্ডকে। তাতেও সাড়া দেননি বিশ্বকাপজয়ী এমবাপে। এমন বাস্তবতায় ফ্রান্সের পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠনের স্পষ্ট বার্তা, দেশের আইন অনুযায়ী কর্মীর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অর্থাৎ, ক্লাবটির।