বছর দুয়েক আগে করোনা মহামারীর সময়ে একটি লাইভ অনুষ্ঠানে তামিম ইকবাল বলেছিলেন, ২০২৩ বিশ্বকাপে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে মেন্টর হিসেবে দলে চান। কিছুদিন আগে সেই ইচ্ছার কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী অবশ্য বিশ্বকাপে মেন্টরের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না সেভাবে।
আড়াইমাস পর ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ। মাশরাফী মেন্টর হওয়া নিয়ে এখনো কিছু ভাবেননি। সময়ের উপর ছেড়ে দিয়েছেন সবকিছু। বুধবার ধানমন্ডিতে একটি অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক। জানান নিজের ভাবনা।
মেন্টর হিসেবে তামিমের চাওয়া নিয়ে বললেন, ‘সেটা ভিন্ন জিনিস। আমার কোনো মাইন্ড সেট-আপ নেই। আগেও বলেছি, আমার এরকম কোনো মাইন্ড সেট-আপ নেই। আপনারা যে প্রশ্ন করছেন, এই প্রশ্নের উত্তরও নেই আমার কাছে। আমি কোনকিছু জানি না। আমার বর্তমানে কী কাজ সেইটা শুধু জানি। কালকে যেটা কাজ আসবে, সেটা করব। পরশুদিনের কথা বলা বা কালকের চিন্তা করার এখন আমার সময় নেই।’
‘মেন্টরে কী লাভ হয়? আমাকে একটু বলতে পারবেন? আমি জানি না, ও(তামিম) কেনো চাচ্ছে! মেন্টর জিনিসটা তো… অন্য জিনিস। মেন্টরের কাজটা কী আমি জানি না। সেরকম পরিস্থিতি এলে, সেরকম হলে তখন বলা যাবে। এখন এই মুহূর্তে আমাকে প্রশ্ন করলে, এর উত্তর নেই। এখানে আমি কী উত্তর দেবো? যদি সেরকম কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয় ভবিষ্যতে, সেরকম কিছু হয়, তখন আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু বলা যাবে। এই মুহূর্তে আমি ওরকম কিছু দেখি না।’
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিছু ডিজায়ার করলে সেটা ভিন্ন জিনিস। সেটার সাথে তর্কে যাওয়ার বা কথা বলার সুযোগ নেই। এই মুহূর্তে আপনাদের কী বলতে পারি। কিছুই বলতে পারি না। কালকে কী পরিস্থিতি হবে, সেটা আমরা কেউ জানি না। সেরকম কোনকিছু ঘটলে তখন দেখা যাবে। এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, দল ভালো থাকা, দল ভালো খেলা। যেটা আমরা সবাই আশা করছি।’
তামিমের অবসর কাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রীর ডাকে গণভবনে যাওয়া প্রসঙ্গে মাশরাফী বললেন, ‘আমার কাছে মনে হয় একটু ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। যেটা হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তামিমের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। এটা পুরোপুরি ওনার ইচ্ছা ছিল। উনি তামিমের সঙ্গে কথা বলেছেন। উনি কী বলেছেন সেটা তো ব্যক্তিগতভাবে তামিমের সঙ্গেই কথা হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, ইতিবাচক কথাই হয়েছে। সেই কারণেই তামিম আবার ক্রিকেটে ফিরেছে। এখানে অন্যকাউকে মেশানো ঠিক হবে না। এটা একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ছিল, তামিমের সঙ্গে কথা বলার। সেটাই হয়েছে। বাকিটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তামিমের মধ্যেই কথা হয়েছে।’
চোট সারাতে তামিম গেছেন লন্ডনে। মাশরাফী মনে করেন ফিট হলে তামিমের ব্যাট আবারও জ্বলে উঠবে, ‘ওর ইনজুরি ওকে ভোগাচ্ছে। ও পারফর্ম করছে না, কেন করছে না? কারণ হচ্ছে ইনজুরি। তাহলে কী করা উচিত? ওর ইনজুরিটা ঠিক করে আসা উচিত। ওই যে বললাম, ডুয়িং দ্য রাইট থিংস। ওর এখন উচিত ইনজুরি নিয়ে চিন্তা করা। ফিট হয়ে আসলে আমি নিশ্চিত ও অটোমেটিক রান করবে, আর আগের পরিস্থিতিতে ফিরে আসবে।’