কারও কাছে তিনি বাবার মতো, কারও কাছে আবার বড় ভাই—স্বপ্নদ্রষ্টা, মানুষটি বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন। যার হাত ধরে মেয়েরা জিতেছে প্রায় সবধরনের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট। সবশেষ এলো সাউথ এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। এরপর?
চ্যাম্পিয়ন কোচের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবলের বড় স্বপ্ন দেখানো কোচ ছোটন উত্তরে শুনিয়েছেন আশার কথাই। প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, লাল-সবুজ দলকে সাউথ এশিয়ার মতো এশিয়ায়ও শক্ত জায়গা এনে দিতে চান।
বুধবার চ্যানেল আইয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছোটন বলেছেন, ‘২০১৬ সালে যখন শুরু করেছিলাম, তখন লক্ষ্য ছিল সাউথ এশিয়ায় একটা ভালো দল হবো। একই সঙ্গে এএফসির বয়সভিত্তিক খেলাগুলোও লক্ষ্য ছিল। সেসব মেয়েরা দারুণভাবে সম্পন্ন করে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।’
নেপালে সাফের আসরে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলা। অদম্য মেয়েদের কল্যাণে আগেভাগেই পূরণ হয়েছে শিরোপার লক্ষ্য। ট্রফি জয়ের পর ছোটন আরও একটু বাড়িয়ে নিয়েছেন স্বপ্নের পরিধি। সাউথ এশিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে এশিয়ার বড় দলগুলোকেও চ্যালেঞ্জ জানাতে পরিকল্পনা আঁটছেন।
‘আমাদের লক্ষ্য ছিল নেপালের আসরে ফাইনাল খেলব। আসলে সবার লক্ষ্য ছিল ২০২৪ বা ’২৫ সালে শিরোপা জেতার। কিন্তু এখনই আমরা মেয়েরা সাউথ এশিয়ান ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন। শিরোপা জয়ের পর আমাদের লক্ষ্য সাউথ এশিয়ায় নিজেদের জায়গা শক্ত করার। আসিয়ান অঞ্চলে যেসব দল আছে, যারা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে, তাদের বিরুদ্ধে লড়ার। ওখানে ভালো করে সাউথ এশিয়ায় জায়গা পোক্ত করার পাশাপাশি এশিয়ায়ও শক্ত অবস্থান আনার লক্ষ্য।’ বলেছেন কোচ ছোটন।
দুপুর ১২টার কিছু আগে শিরোপাজয়ী ফুটবল দল জড়ো হয়েছিল চ্যানেল আই ভবনে। বাফুফের বাস থেকে শুরুতে ট্রফি হাতে নামেন মারিয়া মান্ডা। পরে একে একে বাকি ফুটবলারদের সঙ্গে নেমে আসেন জয়ী কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন। ফুলের চাদর পেরিয়ে, সংবর্ধনা, কেক কাটা-সহ হরেক আয়োজন শেষে জমে আড্ডার আসর।