মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে রাজধানীর শহীদ মিনার থেকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত হতে যাচ্ছে শোক থেকে শক্তি —অদম্য পদযাত্রা।
রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অভিযাত্রীর সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, ১২ বছর ধরে আয়োজন করা এই পদযাত্রা সবার জন্য উন্মুক্ত। পদযাত্রায় মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে শেষ হবে ৩২ কিলোমিটারের এই পদযাত্রা। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি নারী নিশাত মজুমদার, অভিযাত্রী মির্জা জাকারিয়া বেগসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শোক থেকে শক্তি: অদম্য পদযাত্রা নাম দিয়ে ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর ২৬ মার্চ অভিযাত্রী এই পদযাত্রার আয়োজন করে আসছে। ২০১৬ সালে এই আয়োজনে যুক্ত হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। সেই বছর থেকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের তহবিল সংগ্রহের লক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য ইতিহাসের হাত ধরে হাটি অদম্য’, ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য হাঁটি এক মাইল’ এমন স্লোগানে পদযাত্রার পরিধি বাড়তে থাকে। তখন থেকে ঢাকার পাশাপাশি জামালপুর, পাবনা, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লালমনিরহাটসহ দেশের বাইরেও অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই পদযাত্রা।
এবছর ঢাকা পদযাত্রা শুরু হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে প্রথমে জগন্নাথ হলের বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। তারপর টিএসসি হয়ে সোহরাওয়াদী উদ্যানের শিখা চিরন্তন, মধুর ক্যান্টিন, অপরাজেয় বাংলা, নীলক্ষেত, সিটি কলেজ, পিলখানা রোড হয়ে মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজে যাবে। সেখান থেকে রায়েরবাজার বধ্যভূমি। সেখানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পদযাত্রী দল চলে যাবে বসিলা ব্রিজের নিচে। সেখান থেকে ট্রলারে করে তুরাগ-বুড়িগঙ্গা হয়ে ৩২ কিমি. ধলেশ্বরী পাড়ি দিয়ে পদযাত্রী দল পৌঁছাবে নয়ারহাট। এরপর ঘাটে নেমে ঢাকা আরিচা পথ ধরে পৌঁছে যাবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখানেই ইফতারের অভিযাত্রী দল দৃপ্ত শপথ নেবেন।
এ বছর ঢাকার পাশাপাশি মৌলভীবাজার ও আমেরিকার বোস্টনে অনুষ্ঠিত হবে অদম্য পদযাত্রা।