কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মাদকসেবীর হামলায় সুলাইমান রাজন (৩০) নামে এক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছে। শনিবার ২৭ মে বিকেলে উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা মুনিয়ারিকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
রাজন মুনিয়ারিকান্দা বাজারের মনোহারী ব্যবসায়ী ও একই এলাকার মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মুনিয়ারিকান্দা বাজারের মনোহারী ব্যবসায়ী সুলাইমান রাজনকে গত ১৫ দিন আগে হত্যার হুমকি দিয়েছিল রাসেল। এ বিষয়টি স্থানীয়দের জানিয়েছিল সে। গত শনিবার ২৭ মে বিকেলে আসরের নামাজ আদায়ের জন্য বাড়ি থেকে মসজিদের উদ্দেশ্য রওনা দিলে একই এলাকার গোলাপ মিয়ার ছেলে মাদকসেবী রাসেল (২৮) পিছন থেকে চাপাতি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে দুই পা, বাম হাত ও মাথায় উপুর্যপরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে পাঠানো হয় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে স্থানান্তর করা হয় পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং দুই সপ্তাহ পর আবার গিয়ে পায়ের অপারেশন করতে হবে বলে জানান চিকিৎসক।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানায় মঙ্গলবার ৩০ মে রাতে সুলাইমান রাজন বাদী হয়ে গোলাপ মিয়ার ছেলে মাদক কারবারি ও মাদকসেবী রাসেল, মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে গোলাপ মিয়া, গোলাপ মিয়ার স্ত্রী আম্বিয়াকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
আসামি রাসেল আত্মগোপনে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে রাসেলের পিতা গোলাপ মিয়া জানান, আমার ছেলে রাসেল সঙ্গ দোষে নেশা করে নষ্ট হয়ে গেছে। রাজনকে সে বিনা অপরাধে মেরেছে। আমিও তার বিচার চাই। দোয়া করি রাজন যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ জুয়েল বলেন, রাসেল মাদকাসক্ত। দুই বছর আগে তাকে ময়মনসিংহ মাদক নিরাময় কেন্দ্রে দিয়েছিলাম। অর্থের অভাবে তিনমাস চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরে আসে সে। তারপর গত শনিবার বিকেলে রাজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং তার আপন চাচা মো. আসাদ চাচাতো ভাই মো. আল আমিন, মো. রাকিবকে হত্যার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা চাই অপরাধীকে ধরে আইনের আওতায় আনা হোক।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাহিদ হাসান সুমন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।