২০২২-২৩ মৌসুমে মাঠের পারফরম্যান্সে বড় সফলতা না পেলেও আয়ের দিক থেকে শীর্ষে উঠে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। মৌসুমে রেকর্ড রাজস্ব আয় করে আগের বছর শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটিকে পেছনে ফেলেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটি। আয় বেড়েছে সিটিরও। যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ‘ডিলোইট স্পোর্টস বিজনেস গ্রুপ’র বিশ্লেষণে মিলেছে এসব তথ্য।
প্রতিষ্ঠানটির ‘ডিলোইট ফুটবল মানি লিগ’ গবেষণায় উঠে এসেছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে রেকর্ড ৮৩১ মিলিয়ন ইউরো রাজস্ব আয় করেছে রিয়াল। যা ওই মৌসুমে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে ৮২৬ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে ট্রেবলজয়ী ম্যানচেস্টার সিটি। যদিও সিটিজেনদের রেকর্ড আয় এটি।
আয়ের দিক থেকে তিনে আছে ফরাসি ক্লাব পিএসজি। ৮০২ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে তারা। আয় বেড়েছে বার্সেলোনারও। আগের মৌসুম সপ্তম স্থানে থাকা দলটি ৮০০ মিলিয়ন ইউরো আয় করে উঠে এসেছে চারে। গত মৌসুমে তাদের আয় ছিল ৬৩৮.২ মিলিয়ন ইউরো। আয় বাড়লেও তালিকার ছয়ে বহাল রয়েছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। ৭৪৪ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে তারা। গতবছর ক্লাবটির আয় ছিল ৬৫৩. ৬ মিলিয়ন ইউরো।
নিচে নেমে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুল। একধাপ পিছিয়ে পঞ্চম স্থানে নেমেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৭৪৫.৮ মিলিয়ন আয় করেছে তারা। চার ধাপ নেমেছে লিভারপুল। ৬৮৩ মিলিয়ন ইউরো করে গত মৌসুমে তিনে থাকা দলটি নেমে গেছে সাতে।
তালিকার আট থেকে দশে আছে তিন ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার, চেলসি ও আর্সেনাল। আয়ের দিক দিয়ে শীর্ষ ২০টি ক্লাবের মধ্যে ৮টি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের। আগের মৌসুমে সংখ্যাটা ছিল ১১। ৪৩২ মিলিয়ন ইউরো আয় নিয়ে ইতালি ক্লাব জুভেন্টাস আছে ১১ নম্বরে।
সবমিলিয়ে ইউরোপের ২০টি উচ্চপর্যায়ের ক্লাবের রাজস্ব আয় এবার ১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৫ বিলিয়ন ইউরোতে। এমন রেকর্ড আয়ে মূল ভূমিকা রেখেছে ম্যাচ ডেতে টিভি সম্প্রচার ও বিজ্ঞাপন রাজস্ব। সম্প্রচার সত্ত্ব থেকে এবার আয় বেড়েছে ৫ শতাংশ।