২০২৪ সালকে কাকতালীয়ভাবে বলা হচ্ছে বিশ্ব রাজনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। কারণ, এই ২০২৪ সালে বিশ্বের প্রায় ৭৪টি দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব নির্বাচনে বিশ্বের প্রায ৪৬ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এসব দেশ আবার বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ৫০ শতাংশ জিডিপির যোগান দিয়ে থাকে। কাজেই শুধু রাজনীতি নয়, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির জন্য গুরত্ব বহন করে।
এসব নির্বাচনের ফলে ক্ষমতার পালাবদল হবে ব্যাপকভাবে এবং কোন কোন দেশে ক্ষমতাসীন শক্তির ক্ষমতা আরও সু-সংহত হতে পারে। যা রাজনৈতিক প্রবিধান, প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে এক অভুতপূর্ব মন্থন তৈরী করবে এবং কোন মহাদেশ এ প্রক্রিয়ার বাইরে থাকবে না।
বিশ্বব্যাপী জনগণের জোটবদ্ধ কণ্ঠস্বর নতুন মতের জন্ম দিতে পারে। প্রকৃতপক্ষে ২০২৪ সালটি গণতন্ত্র এবং বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য আশাব্যাঞ্জক হতে পারে।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশকে দিয়ে নির্বাচন শুরু হয়েছিল। তারপর দক্ষিণ এশিয়ার আরেকটি রাষ্ট্র ভুটানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল গত মাসে। আর ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সাধারণ নির্বাচন, যদিও এই নির্বাচন নিয়ে ছিল অনেক কৌতুহল। কিন্তু পাকিস্তানের নির্বাচনে সেনা বাহিনীর হস্তক্ষেপ, ভোট কারচুপি অনিয়মসহ বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের দলের পক্ষ থেকে। যদিও এসব অভিযোগের ভিত্তি লক্ষ্য করা যায়, যখন একজন নির্বাচন কমিশনার অনিয়মের দায়ে পদত্যাগ করেন।
২০২৪ সালে এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এ নির্বাচন ভারতের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গণতান্ত্রিক কাঠামো ও বৈশ্বিক গণতান্ত্রিকধারার জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র এবং তর্কসাপেক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বহুত্ববাদী সমাজ- যেখানে ধর্ম’র প্রাচীন মতবাদই এক অর্থে ভারতের আসল অলিখিত সংবিধানে পরিণত হয়েছে।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন এনডিএ জোট, যে জোটের প্রধান দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আর প্রধানমন্ত্রী হন তৎকালীন গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী নরেদ্র মোদী। যদিও এনডিএ জোট ভোটের বহু আগেই তাদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নাম ঘোষণা করেন। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় তৎকালীন মূখ্যমন্ত্রী নরেদ্র মোদি দেশ ও বিদেশে ব্যাপক সমালোচিত হন এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী রাজধর্ম পালন করার জন্য মোদিকে ভাৎসনা করেন।
জাতিসংঘ, আমেরিকা এবং ইউরোপ নরেন্দ্র মোদিকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়, একপ্রকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কোনঠাসা হয়ে পড়েন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এই প্রতিকূলতা কাটানোর জন্য মোদি নজর দেন গুজরাটের অর্থ-সমাজিক উন্নয়নের উপর এবং সেই উন্নয়নের উপর ভিত্তি করে একধিকবার তিনি গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেই সাথে জাতীয় রাজনীতিতে নিজের অত্যাবশ্যকিয়তা প্রমাণ করেন।
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে মোদি ঝড়ের শুরু হয়েছিল সেই ঝড় এখন অধিক মাত্রায় শক্তিশালী হয়ে টর্নেডোতে রুপ নিয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের এক বছর আগে অনুষ্ঠিত হয় হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্য- রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়। ওই সব রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি পরাজিত হয় কিন্তু তার এক বছর পর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ওই সব রাজ্য ব্যপক ব্যাবধানে জয় লাভ করে।
তখন রাজনৈতিক বিশ্বেষকরা মনে করেন, মোদির জন্যই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একচেটিয়াভাবে জয়লাভ করেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আবার মোদি বিজেপিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা এনে দিতে স্বাক্ষম হন যদিও এনডিএ জোট মিলিয়ে ফলাফল আরও সু-সংহত হয়।
মোদি এত জনপ্রিয় কেন?
গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী থাকার সময় মোদি গুজরাটে ব্যাপক বিদেশী বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে সামর্থ্য হন এবং দেশী বিদেশী বিনিয়োগের মাধ্যমে গুজরাটকে শিল্প-বানিজ্য সমৃদ্ধ করেন। পাশাপাশি গেরুয়া রাজনীতিতে নিজের অবস্থান সু-সংহত করতে থাকেন। কারণ, ২০১৪ সালের বিজেপির প্রধানমন্ত্রীত্বের অন্যতম দাবিদার ছিলেন রামমন্দির প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের নেতা ও তৎকালিন হিন্দুত্ববাদের ব্রান্ড লালকৃঞ্চ আদবাণী।
নবীন প্রবীনের একটি চাপা দ্বন্দ্ব বিজেপির অভ্যন্তরে ছিল। কারণ আদবানীর মতো নেতাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া নরেন্দ্র মোদির জন্য খুব সহজ ছিল না। তার উপর গুজরাট দাঙ্গার ইজেম থেকে বের হওয়া মোদির জন্য বেশ কঠিন ছিল। তথাপি দলের অভ্যন্তরে সিনিয়র বেশীরভাগ নেতাই মোদি বিরোধী ছিলেন, তবে আরএসএস এবং বিজেপির মধ্যমসারির নেতারা নরেন্দ্র মোদির পক্ষে ছিলেন। এরপর মোদি অত্যান্ত দৃঢ়তার সহিত তার অবস্থান পাকাপোক্ত করেন এবং বিজেপির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির নাম ঘোষণা করা হয় দলের পক্ষ থেকে।
২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর মোদি ভারতের রাজনৈতিক কৌশল পাল্টানোর জন্য তার অত্যান্ত আস্থাভাজন অমিত শাহকে গুজরাট থেকে দিল্লী নিয়ে এসে বিজেপির সভাপতি করেন। অমিত শাহের রাজনৈতিক কৌশলের কাছে বিরোধীদলগুলো ধরাশায়ী হতে থাকেন এবং অমিত শাহকে বলা হয় বর্তমান ভারতের রাজনীতির চাণক্য।
বিজেপির কেন্দ্রিয় কমিটি প্রতিটি রাজ্য এবং সরকারে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতা একচ্ছত্র হতে থাকে। কারণ, পুরো পার্টির নিয়ন্ত্রণ অমিত শাহের হাতে। আর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নরেন্দ্র মোদির হাতে চলে আসে। পাশাপাশি পুরো ভারতে গেরুয়া করনের জন্য হিন্দুত্ববাদকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং এতে ব্যাপক সফলতা আসে।
জাত-পাত, ধর্মীয় বিভাজনের কঠিন সমীকরন ডিঙ্গিয়ে ভারতজুড়ে মোদি হিন্দুত্ববাদের একক অপ্রতিরোধ্য নেতাতে পরিণত হন। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়া টুডের জরিপ মুড অন নেশন পরিচালিত জরিপে আবারও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতাসীন হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাজেই নরেন্দ্র মোদির বিজয় এখন শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছে।
বাবরী মসজিদের স্থলে রামন্দির নির্মাণ বিজেপির রাজনৈতিক এজেন্ডা ছিল মোদি সেটার বাস্তবায়ন করেছেন এবং রামমন্দির ইস্যুতে সংখ্যালঘুদের আবেদন অগ্রাহ্য করে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের সমর্থন নিজের দিকে একচেটিয়া নিতে সামর্থ হন।
প্রকান্তরে একসময় ভারতের উচ্চবর্ণের হিন্দুরা ব্যাপক হারে বিজেপিকে ভোট দিত। কিন্তু মোদি উচ্চবর্ণ-নিম্নবর্ণ-দলিত সকল সম্প্রদারের বৃহৎ অংশের সমর্থন নিজের দিকে নিতে পেরেছেন। এটাকে মোদির অন্যতম বড় রাজনৈতিক সফলতা বলে বিশ্বাস করেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা। পাশাপাশি কিছুদিন আগে কাতারে ৮ জন ভারতীয় নৌ-সেনার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ইজরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য। কিন্তু মোদির কুটনৈতিক পদক্ষেপের কারণে তাদের দণ্ড মওকুফ করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
২০২৩ সালে জি-২০ আয়োজন করে তা সফলভাবে সমাপ্ত করার কারণে মোদির কুটনৈতিক সফলতা পরিলক্ষিত হয়। পাশাপাশি ব্রিকসকে শক্তিশালীকরন- আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে মোদির কুটনৈতিক সফলতা এবং রাশিয়া-আমেরিকা ভারসম্যের কুটনীতি মোদি খুব দক্ষতার সাথে সামলান। এতে করে বিশ্বব্যাপী মোদির একটি ভালো কূটনৈতিক ইমেজ তৈরী হয়, যা তাকে ভোটের মাঠে যোজন যোজন এগিয়ে রাখবে।
ভারতের ভোট কুশলী ও এককালে মোদির ভোট পরামর্শক প্রশান্ত কিশোর কিছুদিন আগে ইন্ডিয়া টু-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ভারতে মোদির শাসন আরও দীর্ঘায়িত হবে এবং ২০২৯ সালের আগে মোদিকে ভোটের মাঠে চ্যালেঞ্জ জানানোর মত কোন প্রতিদ্বন্দ্বি নেই।
ইন্ডিয়া জোট
২০২৩ সালে ভারতের সকল বিরোধী দল মিলে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি জোট গঠন করেন, তার নাম দেন ‘ইন্ডিয়া জোট’। সেই জোটে সর্বভারতীয় কংগ্রেস, পশ্চিম বঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস, বিহারের জেডিইউ, আরজেডি, মহারাষ্ট্রের শারদ পাওয়ারের এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, আম আদমী পার্টি, তামিল নাডুর-এএমএমকে, সিপিআইএম, সিপিএম, টিডিএস, টিওয়াইএসআরসহ সর্বভারতীয় ও আঞ্চলিক দল সমূহকে নেয়া হয়।
বিরোধী শিবিরের আশা জাগানোর মত একটি প্ল্যাটফর্ম পেয়েছিল কিন্তু অল্প কিছু দিনের মধ্যে ইন্ডিয়া জোটে ভাঙ্গন দেখা দেয়। বিহারের মূখ্যনন্ত্রী নিতিশ কুমার যিনি ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে তার পুরনো মিত্র বিজেপির নেত্বত্তাধীন এনডিএতে যোগ দিয়েছেন এবং পাশাপাশি পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তার রাজ্য ইন্ডিয়া জোটকে অকার্যকার ঘোষণা করেন। এতে করে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট বড় ধাক্কা খায় এবং জোটের ভবিষ্যত নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা হতাশা ব্যক্ত করেন।
নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপির মোকাবেলা করার আগেই নিজেদেরই মোকাবেলা করতে পারেনি যে জোটটি তাতে ভবিষ্যতে যদি এই জোট থাকতো তাহলে আরও বেশী জটিলতা তৈরী হতো বলে মনে করা হয়।
ইন্ডিয়া জোট থেকে যে দলগুলো বেরিয়ে গিয়েছে, সবাই একবাক্য কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধীর দিকে অভিযোগের তীর ছুড়েছেন। দলগুলোর অভিযোগ রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক সিদ্বান্ত ও নেতৃত্ব নরেন্দ্র মোদির সাথে টিকে উঠতে পারছে না। তাই আঞ্চলিক দলগুলোকে আরও বেশী গুরুত্ব দেয়া উচিত ইন্ডিয়া জোটের কিন্তু কংগ্রেস সেটা মানতে নারাজ। ফলে আদর্শিকভাবে জোটটি প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়ে।
মূলত, ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন ও সেক্যুলার সংগঠন কংগ্রের হতশ্রী দশা এবং গান্ধী পরিবারের নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে ভারতের গ্রগতিশীল ধারা দুর্বল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি কংগ্রেস ভেঙ্গে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলোর উত্থানের ফলে কংগ্রেস আরও দুর্বল হতে থাকে। যেখানে কংগ্রেস শক্তিশালী সেখানে আবার দলে নবীন-প্রবীন ও ক্ষমতার সংঘাত দ্বন্দ্বে দলে বিভক্তি প্রকট আকার ধারণ করে। ফলে সেখান থেকে সুবিধা নেয় বিজেপি।
রাজস্থানে আশোক গেহলট-শচিন পাইলট, মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ-সিন্ধিয়া বর্তমানে জিতু পাটোয়ারী। তেমনই বর্তমানে কমল নাথের রহস্যময় আচরণ-মহারাষ্ট্রে বাবা সিদ্দিকীর কংগ্রেস ত্যাগ ও সাবেক মূখ্যমন্ত্রী আশোক সোহানে কংগ্রেস ত্যাগ, গোলাম নবী আজাদের কংগ্রেস ত্যাগ, আসামের হেমন্ত বিশ্বশর্মার কংগ্রেস ত্যাগ দলকে দুর্বল এবং অপ্রাসংগিক করে তুলেছে।
সর্বভারতীয় দল হিসেবে কংগ্রেস যদি মাথা তুলে দাড়াতে পারে এবং সেক্যুলার ধারার সকল রাজনৈতিক দল ও আঞ্চলিক দল সমূহকে এক ছাতার নিছে এনে উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিপরীতে আদর্শিক লড়াইয়ে শমিল হতে পারে এবং গান্ধী পরিবার যদি নেতৃত্বের দক্ষতা দেখাতে পারে- তবেই কেবল ব্র্যান্ড মোদিকে আটকানো যেতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি খুব সহজেই টানা তৃতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন এবং ২০১৪ সালের যে মোদি ঝড় শুরু হয়েছিল সেটা এখন আরও অধিক শক্তিশালী হয়ে টর্নেডোতে রুপ লাভ করেছে, যার সামনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ভঙ্গুর ইন্ডিয়া জোটে খড়কুটোর মত উড়ে যেতে পারে।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)